খুলনা বিভাগ কে জঙ্গি-সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার লক্ষে অদ্য ১২ ই ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব মোঃএকরামুল হাবীব (প্রশাসন ও অপারেশনস)মহোদয়, ঝিনাহদহ জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সর্বপ্রথম ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা সার্কেল অফিস ও কোট চাঁদপুর থানা দ্বি-বার্ষিক পরিদর্শন করেন।পরিদর্শন কালে তিনি থানার অস্ত্রাগার,থানা গারদ ও মালখানা সহ থানার চলতি বৎসরের পেন্ডিং মামলা রেকর্ড ও মামলা নিঃষ্পত্তি ও অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিক দের সাথে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় কালে তিনি বলেন,বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের ধারা কে বাধা গ্রস্থ্য করতে নিষিদ্ধ একটি কুচক্রী সংগঠন ইসলাম প্রচারের নামে মানুষ কে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।ফলে তারা বিপদগামী হয়ে পড়ছেন।ইসলাম ধর্মের ভূল ব্যাক্ষা দিয়ে তারা কোমল মতি তরুন ছাত্রদের নাশকতা মুলক কাজে ঠেলে দিচ্ছেন।এদের হাত থেকে দুরে থাকুন।এদের কে সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ করুন।এদের কে চিহ্নিত করে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিন।তারা দেশ ও জাতীর শত্রু।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ কে জনগনের বন্ধু মনে করুন।সকল ভাল কাজে পুলিশের পাসে থেকে পুলিশ কে সাহায্য করুন।
মাদকের ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্স দেখিয়ে বলেন,মাদক কে না বলুন।আপনার সন্তান সন্ধার পরে কোথায় যায়?কাদের সাথে মেশে?সময় মত বাড়ি ফেরে কিনা? স্কুল কলেজে নিয়মিত যায় কিনা?ইত্যাদি বিষয় গুলো খেয়াল রাখুন।সামাজিক ভাবে তাদের কে কাউন্সিলিং করুন।তাদের কে পুনর্বাসনের মাধ্যমে সুস্থ্য করে তুলুন।মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত কোন ব্যক্তির ছাড় নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন,ইয়াবা ব্যবসায়ী দের জন্য সরকার নতুন আইন তৈরি করেছেন।তাদের কে মৃত্যু দন্ড বা যাবৎ জীবন জেল খানায় থাকার সাজার বিধান রেখে নতুন আইন চুড়ান্ত করা হচ্ছে।সুতরাং মাদক ব্যবসায়ীরা আজই আত্মসমারর্ম্পন করুন।অন্যথায় তাদের পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ হবে।
পরিদর্শন শেষে, ঝিনাইদহ জেলার চৌকশ পুলিশের একটি দল তাঁকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।এসময় ঝিনাইদহ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃ ঝিনাইদহ পুলিশ fb id.