বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখতে ইউনিটগুলোতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিমের কর্মকর্তাগন সার্বক্ষণিক করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের পাশে যাচ্ছেন।তাঁদের সাথে কথা বলছেন। তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সদা তৎপর রয়েছেন। এ ছাড়াও করোনা আক্রান্তদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে কাজ করছেন।
চলমান করোনাযুদ্ধে পুলিশের ইউনিটগুলো নিজস্ব উদ্যেগে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্য ও সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ডিএমপির গুলশান বিভাগ আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে মৌসুমী ফলমূলসহ পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই মানবকল্যানে বহুমূখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে গুলশান বিভাগ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে কর্মহীন, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যারা লোকলজ্জার কারণে চাইতে পারেন না, তাঁদের পরিচয় গোপন রেখে বাসায় খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে বিভিন্ন এলাকায় তাঁরা খাদ্যসামগ্রী ও প্রতিদিন দু:স্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
করোনাকালে ডিএমপি’র এই বিভাগের উদ্যোগে নিয়মিতভাবে কাঁচাবাজার, সুপারশপ ও ফার্মেসীতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য কাঁচাবাজার, সুপারশপ ও ফার্মেসীতে প্রবেশ ও বহির্গমন একমুখী করা,জনসমাগম এড়াতে স্টিকার ও রং দিয়ে সামাজিক দূরত্ব নির্দিষ্টকরণ করা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় বিভিন্ন বাসায় ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
এর বাইরেও করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের হাসপাতালে পাঠানো, আবাসস্থল সংলগ্ন এলাকা লকডাউন ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা ও করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির সৎকার ব্যবস্থা করতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও গুলশান বিভাগের সদস্যরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
সর্বদাই জনগণের পাশে, বাংলাদেশ পুলিশ।