সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেছেন, আমি আমার কর্মকান্ড দিয়ে সাতক্ষীরাবান্ধব মানুষ হতে চাই। এ জেলার মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ-দু:খের সাথি হতে চাই। সুশিলসমাজকে সাথে নিয়ে এ জেলার সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের পথ খুঁজবো। সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানে আমি এ জেলায় যোগদানের আগেরই কাজ শুরু করেছি। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে ইতোমধ্যে কথা বলেছি। আশাকরছি সফল হবো। সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা সমস্যাসহ যেসব সমস্যা রয়েছে তা পর্যায়ক্রমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবো। নবাগত জেলা প্রশাসক বলেন, এই মুহুর্তে সব চেয়ে বড় চ্যালেন্স করোনা মহামারী মোকাবেলা করা। করোনাকে রুখতে হলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সবাইকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা। সাধারণ মানুষ যাতে মুখে মাস্ক পরে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সে ব্যাপারে আমাদের স্ব -স্ব অবস্থান থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। শতভাগ মানুষকে টিকা না নেওয়া পর্যন্ত মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করবে। যদিও এ জেলায় ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের জনবল সংকট রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরার যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করতে আমি সকলের সহযোগিতা চাই। পারস্পারিক সহযোগিতা ছাড়া সমস্যা সমাধান এটা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তাদের জন্য ২৪ ঘন্টা আমার ফোনটি খোলা থাকবে। জেলায় কোন ধরনের দুর্নীতি অনিয়ম হলে আমাকে বলবেন। দেখবেন পত্রিকায় প্রকাশের আগেই সেটা সমাধান হয়েগেছে। সাংবাদিকদের জন্য একটি তথ্য সেল করার বিষয়টিও ভাবা হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা নিজেদেরকে যেনো নিরাপদ রেখেই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব পালন করি। সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির আজ বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। প্রায় ২ ঘন্টা ১০ মিনিট ব্যাপী মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সভাপতি আবু আহমেদ , সিনিয়র সাংবাদিক কল্যান ব্যানার্জী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, রামকৃঞ্চ চক্রবর্তী, দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক লায়লা পারভিন সেঁজুথি, কাজী ময়না, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, হাফিজুর রহমান মাসুম, অসীম চক্রবর্তী, এম জিল্লুর রহমান, এম ইদুজ্জামান ইদ্রিস, আহসানুর রহমান রাজিব, আমিনা বিলকিস ময়না, আব্দুস সামাদ প্রমুখ। সাংবাদিকরা নবাগত জেলা প্রশাসককে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভবনার কথা তুলে ধরেন এবং এ ব্যাপারে আশু দৃষ্টি কামনা করেন। বক্তারা সাতক্ষীরার প্রাণ সায়ের খাল পুন:খনন নিয়ে দুর্নীতি, ভোমরা স্থল বন্দরের সমস্যা, সুন্দরবনের সম্পদ সংরক্ষন, স্থানীয় জলাবদ্ধতা নিরসন, করোনা রুখতে সীমান্তে কঠোর ভাবে সীলগালা করা, ভীমহীনদের মাঝে খাসজমি বন্টন, স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন দুর্নীতি, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগিরা যথাযথ সেবা না পাওয়া, সাতক্ষীরার দুর্বল শিক্ষা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মনযোগসহকারে সাংবাদিকদের এসব কথা শোনেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।