সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে উদ্ধার হলো রোলার বিক্রির সাড়ে ছয়লাখ টাকা

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 283 দর্শন

 

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর হস্তক্ষেপে রুলার বিক্রির টাকা ফেরৎ ফেলো মুনজিতপুর রথখোলা বিলের বাসিন্ধা নাসির উদ্দীন (লিটন)।

খোজ নিয়ে যানা যায় মুনজিতপুর রথখোলা বিলের বাসিন্দা স্বনামধন্য ঠিকাদার হেলাল উদ্দিনেের ছোট ভাই নাসির উদ্দীন লিটন।বড় ভাই হেলাল কয়েক বৎসর আগে ব্রেনষ্টোক রোগে ইন্তেকাল করেন।বড় ভাই হেলাল উদ্দিন মৃত্যুর আগে প্রায় কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন করে মুনজিতপুর বিলের মধ্যে একটি বাড়ি বানান ও রাস্তা মেরামতের সামগ্রী কিনে সুনামের সহিত বসবাস করিতেছিলেন। কিন্তু হেলাল উদ্দিনের অকাল মৃত্যুতে ব্যাংকের কিস্তির চাপ এসে পড়ে হেলালের ছোট ভাই নাসির উদ্দীনের উপরে।বড় ভাই কে হারিয়ে নাসির উদ্দীন ও তার পরিবার এখন দিশেহারা। তারা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন হেলালের সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকের ঝৃীন পরিশোধ করার।

তারই ধারাবাহিকতায় হেলালের ছোট ভাই নাসির উদ্দীন হেলালের রেখে যাওয়া রোলারটি সাড়ে ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করবেন বলে রবিবার দুপুরে শহরের ফারজানা ক্লিনিকে বসে কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়াজ্জেম হোসেনের স্টাম্পে চুক্তিবদ্ধ হন। স্টাম্পে নাসির উদ্দীন তার ভাইয়ের রোলারটি কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে সাড়ে ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন এই মর্মে লিখে দেন। এই পর্যন্ত সব ই ঠিক ছিলো। স্টাম্পে লিখে দেওয়ার পরে নাসির উদ্দীন টাকা চাইলে হেলাতলার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীনের সাথে চোখ পাল্টি দিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যাচ্ছিলো।

এসময় নাসির উদ্দীন একা একা কি করবে ভেবে পাচ্ছিলেন না। পরে নাসির উদ্দীন তার ফুপাতো ভাই কে ফোন দিয়ে সাহায্য চান বলেন দ্রুত চলে আসতে তার টাকা না দিয়ে রোলার নিয়ে চলে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার ম্যানেজার।এসময় নাসির উদ্দীনের ফুপাতো ভাই বুদ্ধিকরে নাসির উদ্দীন কে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর সরকারি নাম্বার টি এসএমএস করে দিলে নাসির উদ্দীন সাথে সাথে পুলিশ সুপার কে ফোনে জানান তার বিপদের কথা।

অসহায় নাসির উদ্দীনের বিপদের কথা শুনেই তৎক্ষনাৎ সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার)সাতক্ষীরা থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান কে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিলে সাতক্ষীরা থানার এসআই প্রদীপ রায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘিরে ফেলেন ফারজানা ক্লিনিক। পরে এসআই প্রদীপ রায় কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছ থেকে দুটি চেকে সাড়ে চার লাখ ও আড়াই লাখ টাকার চেক লিখে নিয়ে নাসির উদ্দীন কে ফিরিয়ে দেন।

বিপদ গ্রস্ত নাসির উদ্দীন সাড়ে ছয় লাখ টাকার চেক পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার)এঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন আমার পিতা আশরাফ চেয়ারম্যান আজ পৃথিবীতে নাই, আমার অবিভাবক ও আপন বড় ভাই হেলালউদ্দীন ও আজ পৃথিবীতে নেই।নাসির উদ্দীন প্রতিবেদক কে বলেন,যখন আমাকে রোলার বিক্রির সাড়ে ছয় লাখ টাকা না দিয়ে আমার রোলার ছিনতাই করে চলে যাচ্ছিলো তখন মনে হচ্ছিল আমার মাথার উপরে আকাশ ভেঙে পড়েছে।আমার বাবা নেই, বড় ভাই নেই আমি কার কাছে ফোন দিবো মাথায় চিন্তা করে পারছিলাম না পরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর হস্তক্ষেপে আমি সাড়ে ৬ লাখ টাকার চেক পেয়েছি। পুলিশ সুপার আমার পিতার ভুমিকা পালন করেছেন। নাসির উদ্দীন বলেন  একটি চেকের তারিক ২০২১ সালের দেওয়া এবং অপর চেকের সিলের একটু কালি মোছা।এবিষয়ে আমি সাতক্ষীরা থানার এসআই প্রদীপ রায় কে বলেছি। প্রদীপ রায় আগামীকাল হেলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন

নাসির আরো জানান, পুলিশ সুপার যদি আজ সময় মত আমার মোবাইল  ফোন রিসিভ না করতেন তাহলে তারা আমার টাকা না দিয়েই চলে যেতেন ,তাই পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপেই আমি সাড়ে ছয় লাখ টাকার চেক পেয়েছি !!





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন