শেখ আরিফুল ইসলাম আশা: সাতক্ষীরায় গ্রেফতার হওয়া মোঃ এরশাদ(৩৬) নামের আন্তঃজেলা চোরচক্রের এক সদস্যকে দুইদিনের রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। রিমান্ডে পুলিশের কাছে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চোরাই মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর আদালত চোরচক্রের এই সদস্যকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। ৬ ও ৭ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির দায় স্বীকার করে। এছাড়া গ্রেফতার হওয়া এই চক্রের আরেক সদস্য হলো মোঃ হাসান(৩২)। এরা সবাই ঢাকার নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ২টায় সাতক্ষীরা সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইন চার্জ আবু জিহাদ মোঃ ফখরুল ইসলাম খান, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মিজানুর রহমান ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ সাইদুর জামান।
সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মীর আসাদুজ্জামান জানান, গত ৩০ নভেম্বর ওই দুই চোর সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে কম্পিউটার ল্যাবে মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি করার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করলে তাদের বাধা দিলে এসময় চোরদের হাতে ৩ জন নাইটগার্ড গুরুতর আহত হয়। পরে ওই রাতেই স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ দুই চোরকে ধরতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ এরশাদ জানায়, তারা বিভিন্ন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও সরকারি অফিস, ল্যাব থেকে কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি করে বাজারে বিক্রি করতো। এছাড়া তারা প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষন কেন্দ্র এবং শেখ রাসেল ল্যাব থেকে মূল্যবান কম্পিউটার সামগ্রী চুরি করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ঢাকার জুরাইনের এমএ কম্পিউটার নামের একটি দোকান থেকে ৪২ পিস প্রসেসর এবং ৪২ পিস র্যাম উদ্ধার করে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪০০ টাকা। তারা গত ৫/৬ বছর যাবত এই কাজ করে আসছিল।
সংবাদ সম্মেলনে মীর আসাদুজ্জামান আরও জানান, আটক দুই চোরের মধ্যে একজন বোবা ও আরেকজন কানে কম শোনে।
এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা চোরচক্রটির বিষয়ে তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে। খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।