সাতক্ষীরায় সৎ, যোগ্য ও মেধাবিদের পুলিশ রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বিপিএম মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন মাঠে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।

মতবিনিময় সভায় এসপি সাজ্জাদুর রহমান বিপিএম  সাংবাদিকদের বলেন, সাতক্ষীরা জেলা থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল টিআরসি পদে গত ২২ জুন-২০১৯ তারিখে ১৩২০ জন প্রার্থী আবেদন করে।

তার মধ্যে প্রাথমিক বাছাই পর্বে ৫২২ জন প্রার্থী অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।বাকি ৭৯৮ জন প্রার্থী গত ২৩ জুন লিখিত পরিক্ষায় অংশ নেয়। তার মধ্যে থেকে সৎ, যোগ্য, মেধার ভিত্তিতে ৭২ জন প্রার্থী চুড়ান্ত ভাবে বিবেচিত হয়। চুড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে পুরুষ ৫৯ জন এবং নারী ১৩ জন।

এ দিকে কোন প্রকার অবৈধ অর্থ লেনদেন ও যোগাযোগ ছাড়াই মাত্র ১০০ টাকায় চাকরি পাওয়ায় প্রার্থী এবং অভিবাবকদের মধ্যে ব্যাপক আনান্দ ও উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেছে।

সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যের কৃষক পিতা রহমত আলী বলেন,আমি খেটে খাওয়া দিন মুজুর। আমার অগাধ ধন-সম্পদ ও নেই যে তা বিক্রি করে ছেলের চাকুরীতে টাকা দেবো।তিনি বলেন,আমি কখনো কল্পনাও করিনি যে সাতক্ষীরার এসপি সাহেব আমার বেকার ছেলেকে মাত্র ১০০ টাকায় চাকুরী দেবেন।অপর এক প্রার্থীর ভ্যান চালক পিতা আব্দুল হান্নান প্রতিবেদক কে বলেন,আমার ধারনা ছিলো আমার টাকা নেই সুতরাং আমার ছেলের পুলিশে চাকুরীও হবেনা।কিন্তু আমার ছেলে বল্লো,, আব্বা মাইকে এসপি স্যার ঘোষনা দিয়েছেন তিনি মাত্র ১০০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবলে চাকুরী দেবেন।সেই ঘোষনা মোতাবেক আমার ছেলে ১০০ টাকা খরচ করে ব্যাংক চালান জমা দিয়ে পুলিশে বিনা ঘুষে চাকুরী পেয়েছেন।

এসপি সাজ্জাদুর রহমান  বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দূর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার যে অঙ্গীকার করেছেন, সেই অঙ্গীকারের সারথী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। বাংলাদেশ পুলিশ প্রধানের নির্দেশে আমরা যে চলমান রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি তা সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে করা হয়েছে।

যারা মেধাবী যারা দেশ ও জনগনের প্রান হবে আমরা আমাদের মেধা দিয়ে যতটুকু বুঝেছি মানুষিক ভাবে যারা দেশের সেবায় নিবেদিত হবে তাদেরকে আমরা রিক্রুট করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

পুলিশ প্রধানের নির্দেশে আমরা দূনীতি মূক্ত সততার সাথে এ দায়ীত্ব পালন করেছি এবং কেউ যাতে প্রতারকের দ্বারা প্রতারিত না হয় তার জন্য আমরা সর্বচ্চো চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, অবৈধ লেনদেন করার সময় সম্প্রতি এক জন পরীক্ষার্থী ও এক দালাল কে ১১ লক্ষ টাকা সহ ধরা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই জেলাতে যারা নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছে তারা তাদের আর মেধার ভিতিত্তে ও যোগ্যতায় হয়েছে।চাকুরী পেতে তাদের সর্বমোট খরচ হয়েছে মাত্র ১০০ টাকা।

সাতক্ষীরা জেলাতে পদ খালি ৩২ জনের কিন্তু বিগত দিনের বিভিন্ন সময়ের মুক্তিযোদ্ধা, পোশ্য, আনসার, এতিম কোটায় ৪০ টি পদ খালি থাকায় সব মিলিয়ে আমরা ৭২ জনকে নির্বাচিত করেছি।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ (পদোন্নিতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার ) সুপার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ,কালিগঞ্জ সার্কেলের এডিশনাল এসপি জামিরুল ইসলাম,সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি মির্জা সালা্হ উদ্দিন,তালা সার্কেলেন সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির, জেলা বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান,ডিবি পুলিশের ইনচার্জ আলী আহমেদ হাশমী, সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ  সহ সদ্য নিয়োগ পাওয়া ৭২ জন পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন