সাতক্ষীরা হতে সংঘবদ্ধ অজ্ঞান পার্টির প্রধান মোঃ সবুজ সরদার সহ ০৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি চৌকশ দল।

র‌্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, প্রতারক, ও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার আসামী, গ্রেফতারসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করে জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরে একটি সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টি চক্রের সন্ধান পায়। যারা ইউনানী হামদার্দ কোম্পানির মনোগ্রাম ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চক্রটি বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে নিজেরাই বিভিন্ন চেতনা নাশক ঔষধ/ মলম তৈরী করে বিভিন্ন যাত্রীবাহি বাসে, শহরের জনসমাগম এলাকায় তাদের টার্গেট অনুযায়ী বিভিন্ন মানুষকে অজ্ঞান করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়।

সংঘবদ্ধ চক্রটির তৈরীকৃত ঔষধ/মলম দ্বারা অক্রান্ত ব্যক্তি ৩/৪ দিন অচেতন অবস্থায় থাকে এতে অক্রান্ত ব্যক্তির প্রান নাশের আশংঙ্খা বিদ্যমান।র‌্যাব-৬, এর একটি চৌকশ আভিযানিক দল উক্ত গ্রুপটির প্রতারনা মূলক কার্যক্রমের উপর নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই প্রেক্ষিতে ০৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখ বিকাল ১৭.০৫ ঘটিকার সময় র‌্যাব-৬,(সদর কোম্পানি) খুলানর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অজ্ঞান পার্টির প্রধান ১। মোঃ সবুজ সরদারসহ তার সহযোগী, ২। মোঃ আঃ মাজেদ গাজী, ৩। মোঃ আনোয়ার হোসেন, ৪। মোঃ আল-আমিন সরদার, ৫। শামসু মিয়া, সাতক্ষীরা গামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামক লোকাল বাসে উঠে সাক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা করে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে পৌছালে অজ্ঞান পার্টির প্রধান সবুজ সরদার তার পাশের ছিটে বসা জনৈক সাইফুল ইসলাম এর সাথে বিভিন্ন কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে ভিকটিম সাইফুল ইসলামের চোখে মলম জাতীয় কিছু লাগিয়ে দেয়। তার চোখ জ্বালাপোঁড়া শুরু করে। তখন ভিকটিম সাইফুল ইসলাম চিৎকার করলে অজ্ঞান পার্টির প্রধান সবুজ সরদার এর সহযোগীরা বল পূর্বক ভিকটিম সাইফুল ইসলামের পরিহিত জিন্স প্যান্টের ডান পকেটে থাকা অনুমান ১০/১১ হাজার টকা ছিনিয়ে নেয়।

র‌্যাব-৬, খুলনার একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম সাইফুলক ইসলামকে উদ্ধার পূর্বক অজ্ঞান পার্টির প্রধান ১। মোঃ সবুজ সরদার (৩৪), ২। মোঃ আল-আমিন সরদার (৪০), উভয় পিতা-মৃত মোজাহার আলী, মাতা- হাসিনা বেগম , গ্রামা- গনেশপুর, ৩। মোঃ আঃ মাজেদ গাজী (৪২), পিতা- মৃত দবিরউদ্দিন গাজী, মাতা-মৃত হালিমা, সাং- খলিশখালী, সর্ব থানা-পাটকেলঘাটা, জেলা- সাতক্ষীরা, ৪। মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৪), পিতা- মৃত আবুল হোসেন, মাতা- মোছাঃ হাজেরা খাতুন,সাং দুধপাতিল, থানা- চুনারুঘাট, ৫। শামসু মিয়া (৫৯), পিতা-মৃত জিন্নাত আলী, মাতা- আতব চান, সাং- সুলতান মাহমুদপুর, থানা- হবিগঞ্জ সদর, উভয় জেলা- হবিগঞ্জদেরকে গ্রেফতার করে ।

এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট হতে ভিকটিমের নিকট থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ১০.৭৯৬/-(দশ হাজার সাতশত ছিয়ানব্বই) টাকা, ০১টি হাত ব্যাগ, সাতটি মোবাইল, ০২টি বিষাক্ত ঔষধের ডিব্বা এবং হামদর্দ কোম্পানির ০২টি পাম্পলেট উদ্ধার পূর্বকক জব্দ করে।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীগন ৫/৬ বছর যাবৎ বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে নিজেরাই চেতনা নাশক মলম তৈরী করে সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন মানুষকে অজ্ঞান করে সর্বশান্ত করার বিষয়টি স্বীকার করে।

র‌্যাব -৬ খুলনা সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল জানায়, গ্রেফতাকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন