সেই শামীমের ভর্তির দায়িত্ব নিলেন সাতক্ষীরার এসপি মতিউর রহমান সিদ্দিকী

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 107 দর্শন

 

আসাদুজ্জামান মধু:  সাতক্ষীরার জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক পত্রদূতে খবর প্রকাশের পর মেরিন কাডেমিতে ৩৫তম স্থান অধিকারী সেই শামীম কবির নিরবের ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে শামীম ও তার মায়ের হাতে ভর্তির টাকা তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান। এছাড়া তার মাসিক খরচের জন্য কিছু খরচ পাঠিয়েছেন কয়েকজন সহৃদয়বান ব্যক্তি।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ ) পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো: সজিব খান বলেন, মেধায় টিকেও মেরিন একাডেমিতে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিলো সাতক্ষীরা শহরের চা বিক্রেতার ছেলে শামীম কবির নিরবের। ভর্তি হতে পারছে না শামীম পত্রদূতে প্রকাশিত এমন একটি সংবাদ জেলা পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে। অর্থের অভাবে এমন একজন মেধাবী ছাত্র ভর্তি হতে না পারার বিষয়টি দু:খজনক। সংবাদটি দেখার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী স্যারকে জানালে শামীমের ভর্তির সব খরচ বহনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রোববার দুপুরে শামীম এবং তার মায়ের হাতে ভর্তির খরচ বাবদ সমুদয় দায়িত্ব নিয়ে প্রয়োজনীয় টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তার সকল প্রকার সহযোগিতার আশ^াস দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এসব মেধারীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এলে এসব মেধাবী ছাত্ররা অভাবের কারণে হারিয়ে যাবে না।’ ওরা বিকশিত হয়ে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে, ভর্তির টাকা পেয়ে শামীম কবির নিরব জানায়, পুলিশ সুপার স্যার আমার ভর্তির টাকা তুলে দিয়েছেন এজন্য পুলিশ সুপার স্যার ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতাজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভর্তির সুযোগ পেয়ে খুশিতে কেঁদে ফেলে সে। এছাড়া অনেক মানুষ আমার সহযোগিতা করতে চেয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি ভর্তি হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারি সবার কাছে সেই দোয়া চাচ্ছি।

শামীমের মা আঞ্জুমান আরা বলেন বলেন, ছেলের ভর্তির টাকা দিয়ে আমাদের পাশে দাড়ানোর জন্য পুলিশ সুপার স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কয়েকজন হৃদয়বান ব্যক্তি পড়াশুনার জন্য মাসিক খরচ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের ছেলে মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের সেবায় কাজ করতে পারে সবার কাছে সেই দোয়া চাচ্ছি।
তার পিতা সিদ্দিকুর রহমানও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং একইসঙ্গে সবার জন্য দোয়া করেছেন।

প্রসঙ্গত, মেধায় টিকেও টাকার জন্য মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হতে পারছিলো না চা বিক্রেতার ছেলে শামীম কবির নিরব। অনিশ্চিয়তায় দিন কাটছিল তার। মেরিন একাডেমি নটিক্যালে ভর্তি হতে তার প্রয়োজন ছিল এককালীন এক লাখের বেশি টাকা। কিন্তু গরিব পিতার পক্ষে এককালীন এত টাকা যোগাড় করা সম্ভব হয়নি। তাই ভর্তি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ছিল নিরবের পরিবার। এ সংক্রান্ত একটি খবর পত্রদূতে প্রকাশিত হলে ভর্তি ও অন্যান্য খরচ বাবদ টাকার ব্যবস্থা করে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী। এছাড়া কয়েকজন হৃদয়বান ব্যক্তি পড়াশুনার জন্য মাসিক খরচ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন