ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান’-এর ওপর দিনব্যাপী এক কর্মশালা বুধবার সকালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান রিপোর্টের সুপারিশ এবং বাস্তবায়ন কৌশল সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আনুষ্ঠানিকভাবে ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান রিপোর্ট প্রকাশ করেন।

অদ্যকার কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর জো হেন-জু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মামুন-আল-রশীদ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যানের প্রকল্প পরিচালক মো. মনির হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিয়াউল আলম বলেন, দেশে শক্তিশালী একটি সরকারি ই-গভর্নমেন্ট ইকো-সিস্টেম প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান অত্যন্ত কার্যকরী এবং টেকসই ভূমিকা পালন করবে। এটি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ সংস্থার আইসিটি সম্পর্কিত উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট জরিপ-২০১৮ অনুসারে বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫ তম।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২০২১ সালের মধ্যে জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট র্যাংকিং এ পাশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।

২০০৩ সালে মাত্র ৪৫টি দেশে ওয়ান স্টপ প্ল্যাটফরম ছিল এবং ২০১৬ সালে এটি ৯০ এ উন্নীত হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে ৪০শতাংশের বেশি সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে চালু রয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ ৯০ শতাংশ সেবা অনলাইনে আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সভাপতির ভাষণে পার্থপ্রতিম দেব বলেন, সরকারের লক্ষ্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিক সেবাসমূহ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন হলে সকল নাগরিক সেবা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন