গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: আনোয়ার হোসেন বিপিএম(বার)পিপিএম(বার) তাঁর ফেইজবুক আইডির মাধ্যমে বলেছেন, অনুগ্রহপূর্বক দুই চার জন পুলিশ সদস্যের কর্ম দিয়ে সমগ্র পুলিশবাহিনীকে বিচার করবেন না। পুলিশ বাহিনীতে এমন হাজারো সদস্য রয়েছেন যারা পেশাদারিত্বের সাথে কঠোর পরিশ্রম করে দেশের মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে মানুষের পাশে থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আসুন আমরা পুলিশ সহ , রাষ্ট্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ভালো কাজ করছেন তাদের কাজগুলোর প্রশংসা করি এবং তাদের উৎসাহিত করি। তাহলে ভালো কাজের লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।তিনি তার ফেইজবুক আইডিতে আরো লিখেছেন পুলিশে যারা খারাপ কাজ করবেন তাদের পরিণতি তারাই ভোগ করবেন। ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান এক নয়। ব্যক্তির জন্য প্রতিষ্ঠানকে দায়ী না করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য : বাংলাদেশ পুলিশ সেই মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সংকটময় পরিস্থিতিতে পেশাদারিত্বের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে করোনা পরিস্থিততে গত তিন/চার মাস ধরে পুলিশ করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দিচ্ছে। শুধু তাই নয় করোনা য় কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার আত্মীয় স্বজন কেউ তার জানাযা পড়তে ও দাফন কাজে যাচ্ছে না। অথচ বাংলাদেশ পুলিশ করোনা আক্রান্তে নিহতদের জানাযা থেকে শুরু করে দাফন কার্য সম্পাদন করছেন পাসাপাসি আক্রান্তের বাড়ি লক ডাউন করে যাচ্ছে। এতে করে পুলিশ ই সব চাইতে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরও বসে নেই বাংলাদেশ পুলিশ। করোনা ভয় কে জয় করে প্রতিনিয়ত মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।এছাড়াও দেশ জুড়ে প্রত্যেক জেলার পুলিশ সুপারগণ মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন খুব প্রশংসার সাথা। যেটা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সুনামের সহিত প্রকাশিত হয়েছে।
সম্প্রতি সাতক্ষীরা হসপিটালে এক মহিলা দুটি জমজ সন্তানের জন্ম দান করেন। সেই অসময় মহিলা এতটাই গরিব যে তার সন্তানদেন আটা গুলা পানি খাওাচ্ছেন দুধ নিকতে না পারায়।
বিষয়টি আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) এঁর নির্দেশনা সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন ও সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান ছুটে যান সাতক্ষীরা সদর হসপিটালের শিশু ওয়ার্ডে। এসময় তারা পুলিশ সুপারের প্রেরিত উপহার ৫ কেজি গুড়ো ধুধ, ৫ টা কৌটার দুধ,৫ কেজি আপেল,৫ কেজি মাল্টা ও জমজ শিশু ও তার মায়ের জন্য ঈদের পোশাক হসপিটালে পৌছে দিয়ে আসেন।
করোনা কালে কয়েক মাস আগে রোকিয়া নামক এক অসহায় মহিলা হসপিটালে সিজার করে বিল পরিশোধ করে পারেনা পরে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে অসহায় রোকিয়া বেগম কে হসপিটাল থেকে রিলিজ করান এবং রোকিয়ার বাড়ি গিয়ে পুলিশ সুপার নিজে গিয়ে রোকেয়া ও তার নবজাতক শিশুর জন্য ঈদ সামগ্রী পৌছে দেন।সাতক্ষীরা র পুলিশ সুপার কোন সাংবাদিক হসপিটালে অসুস্থ্য আছেন এমন সংবাদ শুনতে পেলেই দ্রুত সেই সাংবাদিক কে দেখতে ও তাকে সহযোগীতা করার জন্য হসপিটালে ছুটে যান।
সাতক্ষীরার পুলিশ বলে কথা নয় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) করোনা কালে অসহায় ও দুস্থ্য মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন শুধু তাই নয় তিনি রোযার সময় ঈফতারি নিয়ে রাস্তার ফকির মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করেন।
এমন মানবিক কাজ গুলো প্রত্যেক জেলার পুলিশ সুপারগণ প্রায় প্রায় করে থাকেন। অথচ পুলিশের এত ভালোভালো কাজ গুলি আমাদের চোখে পড়ে না। চোখে পড়ে শুধু টেকনাফ থানার বিচ্ছিন্ন একটা ঘটনা। তাই আসুন আমরা টেক টাফ প্রসংঙ্গটি আদালতের উপর ছেড়ে দিয়ে পুলিশের ভালোকাজ গুলি প্রচার করি।
আপনি চিন্তা করে দেখবেন, আপনি যদি ট্রাকের তলে পিষ্ট হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনার আত্মীয় স্বজন – পাড়াপ্রতিবেশি কেউ আপনার লাশটি আনতে যাবেনা। একপর্যায়ে সেই পুলিশ ই আপনার লাশটি রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হসপিটালে নিয়ে যায়।পরে আইন গত প্রকৃিয়া শেষে আপনার পরিবারের হাতেই লাশটি তুলে দেয়।