চীন ও ভারতের ভ্যাকসিন ট্রায়ালকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানো হচ্ছে’ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 440 দর্শন

 

চীন ও ভারতের করোনার ভ্যাকসিন ট্রায়ালকে কেউ কেউ রাজনৈতিক ইস্যু বানাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শনিবার (৮ আগস্ট) সকালে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চীন ও ভারতের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক তৎপরতা কোন দিকে যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আপনারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞাসা করেন, তারা এর মূল দায়িত্বে রয়েছে। আমি যেটা শুনেছি চায়না একটি কোম্পানি যারা বিভিন্ন দেশে এ ধরনের গবেষণা করে। আমাদের দেশের আইসিডিডিআরবি ২৮টি দেশের প্রতিষ্ঠান। যারা কলেরা নিয়ে গবেষণা করে। তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক হচ্ছে। কিন্তু কেউ কেউ এটা রাজনৈতিক বিষয় বানানোর চেষ্টা করছেন। দিস ইস পিওরলি রিসার্চ। আমাদের দেশের মানুষের জন্য যদি এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হয় তাহলে সেটা নিয়ে সরকার চিন্তা করবে। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খুব বেশি ভূমিকা নেই।

চীন ও ভারতকে বাদ দিয়ে অন্য দেশের ভ্যাকসিন ব্যবহারে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারত ও পাকিস্তান অক্সফোর্ডের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে এটা করছে। আমরা এখনও এ বিষয়ে কারও সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি করিনি। এটা খুব দুঃখজনক। যেখানে পাওয়া যায় তাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা চুক্তি করা উচিত। তাতে সস্তায় শিগগিরই আমরা ভ্যাকসিন পেতে পারি। আমরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে একটি উদ্যোগ নিয়েছি। যার মাধ্যমে যার যার দরকার তাদের দ্রুত ভ্যাকসিন দেয়া যাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা এটা করেছি। আমরা চাই এগুলো দ্রুত হোক।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে এনে বিচারের সম্মুখীন করবো। কিন্তু পাঁচ খুনি এখনও যারা জীবিত আছে তার মধ্যে দুজনের খবর আমরা জানি। একজন আমেরিকা আরেকজন কানাডা রয়েছে। এদের আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব এমন গ্যারান্টি আমি দিতে পারছি না। কারণ তারা যে দেশে আছে তাদের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তবে আমাদের সব মিশনকে সতর্ক করেছি, যাতে দ্রুত খুনিদের খুঁজে দেশে আনা যায়।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ডা. এম মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন,মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনি, মেহেরপুর ডিবির ওসি জুলফিকার আলী,মুজিবনগর থানার ওসি আবদুল হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন