♣♣♣♣
আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে ওরা আমাকে দেখতে পারে না। শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমাকে সব সময় মারধর করে। আমার ননদ এবং স্বামীর ছোট ভাই প্রায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বুধবারে দুপুরে আমার ননদ শিল্পী ও স্বামীর ছোট ভাই বাবু গালিগালাজ করতে করতে ভিতরে আসছিল দরজা খুললেই দুইজন আমাকে কিলঘুমি মারা শুরু করে। ননদ শিল্পী পেটে ঘুসি মারে।
এতে পড়ে যেয়ে রক্তপাত হয়।
এরপর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডের ৩নং বেডে শুষে কথাগুলো বলছিলেন সুলতানপুর নবারুন মোড় এলাকার মাসাদুজ্জামান সুজনের স্ত্রী সোনিয়া জামান। তিনি আরও বলেন, আমার বাবা বাঁশহদা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীর ছোট ভাই বাবুর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। একাধিবার সে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। মাসাদুজ্জামান সুজন বলেন, আমাদের তিন ভাইকে তিনটি দোকান এটা ভাগাভাগি নিয়ে কিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিলো। তারা আমার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং বাড়ি এসে আমার বোন ও ছোট ভাই আমার স্ত্রীকে মারধর করে। সে তিনমাসের অন্ত:সত্তা। আমার স্ত্রীর পেটে আঘাত করার করার এখনও রক্ত ঝরছে। হাসাপতালে ভর্তি আছে। বাচ্চা বাচবে কিনা ডাক্তারও সঠিক বলতে পারছে না। আমি মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে বিয়ে করেছি এবং ওরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির করে এটাই আমার দোষ।
সদর থানায় সাব-ইন্সফেক্টর মনির হোসেন বলেন, মুল ঘটনা হচ্ছে সোনিয়া জানানের স্বামী এবং তার ভাইয়ের মধ্যে দোকান ভাগাভাগি নিয়ে সোনিয়া জামানকে পিটিয়ে আহত করে। এঘটনায় সোনিয়া জামানের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরহাদ জামিল (টিটু)বলেন, সে বুধবার থেকে আমাদের এখন ভর্তি আছে। বাচ্চার বিষয়টি সঠিকভাবে বলতে পারছি না।
সূত্রঃদৈনিক পত্রদূত।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন