দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর জরায়ুতে ঘা ও পিত্ত থলিতে পাথর ধরা পড়ে মা নার্গিসের । অসহায় গরিব মা ছেলের পরিবারের কথা উঠে আসে পত্রিকার পাতায় ।
“চোখের জলে মাকে বাঁচানোর জন্য ছেলের আকুতি ” শিরনামে জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল দৈনিক সাতক্ষীরায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় ।
এর পরে একটি ছেলের কান্না পরিণত হয় সাতক্ষীরার এক ঝাঁক তরুণের কান্নায় । সেচ্ছাসেবী সংগঠন সাতক্ষীরা ব্লাড ব্যাংকের তরুণরা তখন এক বুক স্বপ্ন নিয়ে অসহায় মা নার্গিসের জন্য সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুয়ারে দুয়ারে সাহায্যের জন্য ঘুরে বেরিয়েছেন ।
এ সময় সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান আফসানা শারমিন নিউ ওয়ার্ক থেকে এগিয়ে আসেন প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য । তার প্রদ্যোত ৫০১৪ টাকা ও তরুণদের সংগ্রিহিত ২৭৫০ টাকা দিয়ে প্রথম শুরু হয় নার্গিসের প্রাথমিক চিকিৎসা ।

বিভিন্ন দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে ঘুরতে সেচ্ছাসেবী সংগঠন সাতক্ষীরা ব্লাড ব্যাংকের ছেলেরা মা নার্গিস কে নিয়ে হাজির হন সাতক্ষীরার এসপি সাজ্জাদুর রহমানের কাছে । একটি মায়ের কথা অনেক ছেলের কণ্ঠে, মানবতার এমন দৃশ্য দেখে সকলকে বুকে টেনে নেন পরম স্নেহে ।
মা নার্গিসের চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি । পরে চিকিৎসার জন্য ৮ অক্টোবর নগত ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ সাজ্জাদুর রহমান   ।
তার পর থেকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন তিনি। বেশ কিছু দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর । রবিবার সকালে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিশেষঙ্গ ডাঃ রুহুল কুদ্দুস দুই ঘন্টা নার্গিসের অপারেশনর পর পিত্ত থলির পাথর অপসারণ করেন ।
দায়িত্বরত চিকিৎসক এই মূহুর্তে নার্গিস খাতুনকে আসঙ্খা মুক্ত বলে জানিয়েছেন । তবে জরায়ুর অপারেশনটি বর্তমান অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেই করা যাবে বলে জানান।
বর্তমানে নার্গিস খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা ধিন আছে ।
ছেলে জাহিদের পাশাপাশি ব্লাড ব্যাংকের শিলা মন্ডল ( রাত্রি মন্ডল ) সহ জনি ,সকিব ,রনি ,মেঘলা ,আরিফ , বিদ্যুৎ,ছন্দা,তানহা রোগীর দেখাশোনা করছেন ।

সূত্রঃ দৈনিক সাতক্ষীরা ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন