মধ্যরাতে নবজাতকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন তালা থানার কর্মকর্তা সেকেন্দার ও প্রিতিশ রায়
ইলিয়াস হোসেন, তালা: মধ্য রাতে অসহায় মায়ের কান্না শুনে তার নবজাতক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন তালা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেকেন্দার আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) প্রিতিশ রায়। এর মধ্যদিয়ে ‘সেবাই পুলিশের ধর্ম’ কথাটি যেন আরও একবার প্রমাণিত হলো।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত শনিবার মধ্য রাতে তালা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেকেন্দার আলী ও এসআই প্রিতিশ রায়সহ পুলিশের একটি টহল পার্টি উপজেলার জাতপুর ঋষিপাড়ার কাছাকাছি পৌঁছালে এক অসহায় মায়ের কান্না শব্দ শুনে এগিয়ে যান তাদের বাড়ির পথ ধরে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার নবজাতক শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নিঃশ^াস বন্ধ হয়ে আছে। কোন যানবাহন না পাওয়ায় চিকিৎসকের কাছে নিতে পারছেন না তারা। তাৎক্ষণিক শিশুটিকে টহল গাড়িতে করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তারা। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ঐ রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থানায় ফিরে আসেন এসআই প্রিতিশ। মধ্য রাতে বিপদগ্রস্ত ঐ শিশুর পরিবারের পাশে দাড়ানোর কারণে শিশুটি এখনো হয়তোবা বেঁচে আছে বলে দাবি পরিবারটির। আবেগে আপ্লুত হয়ে তারা বলেন, এমন দারোগা ওসি জীবনে দেখিনি। ঈশ^র মনে হয় দেবদূত হিসাবে উনাদেরকেই পাঠিয়েছিলেন।
শিশুটির বাবা সাতক্ষীরার সদরের কচুয়া গ্রামের হতদরিদ্র নরসুন্দর শংকার সরকার। বর্তমানে ১১দিনের ওই অসুস্থ শিশুটি তার মায়ের সাথে তালার জাতপুর ঋষিপড়ায় দাদু চিত্তরঞ্জন সরকারে বাড়িতে অবস্থান করছে। নরসুন্দর হতদরিদ্র বাবার পক্ষে শিশুটির চিকিৎসার ব্যয় বহনের সংগতি নেই। তাই তিনি সবার কাছে সাধ্যমত সহযোগিতা করার আকুল আবেদন জানিয়েছেন। সহযোগিতার জন্য ০১৭৬১৮৩০০৩৬ নাম্বারে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
তালা থানার ওসি মেহেদি রাসেল বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। আমার ওসি তদন্ত সেকেন্দার আলী ও এসআই প্রিতিশ রায় অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য কাজ করেছে এবং মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে।