বলছিলাম মাহমুদপুরের বাসিন্দা আছিয়া খাতুনের কথা।সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহামুদপুর গ্রামে বাড়ি তার। স্বামী ভোমরা ল্যান্ডপোর্টের শ্রমিক।।ঘরে একটি সন্তান ও আছে তাদের বয়স ১০-১২ বৎসর আনুমানিক।তিন জনের সংসার বেশ ভালোই চলছিলো। কিন্ত হঠাৎ পোর্ট বন্ধ হওয়ায় আছিয়ার স্বামী বেকার হয়ে পড়েছে আজ কয়েক সপ্তাহ।ঘরে রাখা চাল-ডাল সব ফুরিয়ে গিয়েছে তাদের।বেকার স্বামীর আয় রোজগার বন্ধ যার কারনে রোজ বাজারও করতে পারেনা এই দম্পতি।
রবিবার সারা দিন আছিয়ার বাড়ি কোন রকম চুলা জ্বলেনি। তার কারন ঘরে রান্না করার সকল উপাদান ফুরিয়ে গেছে।আছিয়া ও তার পরিবার সারা দিন উপোস ছিলো এক প্রকার।সারাদিন গেলো না খেয়ে। সন্ধার পর থেকে আরো বেশি ক্ষুদা লাগতে লাগলো আছিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে। এক পর্যায়ে গ্রামের এক শিক্ষক আছিয়াকে পরামর্শ দিলেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের মোবাইলে এসএমএস বা মোবাইল করে তাদের দুঃখ দূর্দাশার কথা জানাতে।
আছিয়ার স্বামীর মোবাইল আছে কিন্তু আছিয়া এবং তার স্বামী মোবাইলে এসএমএস লিখতে পারে না।এক পর্যায়ে আছিয়ার মোবাইলে এসএমএস লিখে দেন ঐ শিক্ষক এবং সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে দেন।
আছিয়ার মোবাইল থেকে পাওয়া এসএমএস পড়েই সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃআসাদুজ্জামান কে নির্দেশ দেন এখনি আছিয়ার নাম্বারে কথা বলে তার ঠিকানা নিয়ে তার বাড়িতে খাবার সামগ্রী পৌছে দিয়ে আসতে।
রাত ১০ টায় পুলিশ সুপারের নির্দেশনা পেয়ে সাতক্ষীরা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আবুল কালাম আজাদ ও কিলো ওয়ান পার্টির দায়িত্বে থাকা এএসআই নজরুল ইসলাম, কনস্টেবল লেলিন ও কনস্টেবল কামাল খাবার সামগ্রী নিয়ে সোজা চলে যান মাহামুদপুর গ্রামে আছিয়ার বাড়ি।আছিয়ার বাড়ি খুজে পেতে বেশ কষ্ট হলো পুলিশের। এক পর্যায়ে আছিয়ার বাড়ি পৌছে পুলিশ দেখতে পেলো আছিয়া ও তার পরিবার রাস্তায় দাড়িয়ে আছে পুলিশ খাবার দিবে অতপর রান্না করে খাবে তারা।পুলিশ সুপারের পাঠানো ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল,৩ কেজি পিয়াজ, ১ লিটার তেল, ১ প্যাকেট লবণ ও একটি সাবান পেয়ে ভিষন আনন্দিত হন আছিয়া ও তার পরিবার। ঠিক আছিয়ার মত অভাবে থাকা মানুষ গুলো পুলিশ সুপারের মোবাইলে যারা এসএমএস করেছিলেন তাদের প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ।তবে এবিষয়ে জানতে চাইলে এবং নিউজের জন্য ছবি চাইলে নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে এক পুলিশ সদস্য বলেন আমাদের এসপি স্যার ভিষণ দয়াশীল পুলিশ সুপার তিনি ত্রাণ বিতরণ করেন যে পরিমানে তার কিছুই প্রচার করেন না৷