করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গোটা বিশ্ব। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ৬০টি জেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে সনাক্ত হয়েছে। আইইডিসিআর এর ওয়েবসাইটে শুক্রবার পর্যন্ত সর্বশেষ আক্রান্তের হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে সাতক্ষীরায় সর্দি কাশি ও জ¦রসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে ৫জন মৃত্যুবরণ করলেও এর মধ্যে ৪জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। শুক্রবার একজন মৃত্যুবরণ করায় তার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
সেই হিসাবে বাংলাদেশের ৪টি জেলাবাদে সকল ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ছোঁয়াছে কোরানা ভাইরাস। এখনো মুক্ত সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহা, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি। সেজন্য এসব জেলার মানুষের ভাগ্যবান জেলা হিসেবে ধরা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত। এরমধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় সবচেয়ে বেশি করোনা ঝুঁকিতে ছিলো সাতক্ষীরা। তারপরও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপে এখন পর্যন্ত এই জেলার মানুষরা করোনা ভাইরাসমুক্ত।

ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে নিজ ঘরে অবস্থান করা কর্মহীন দরিদ্রদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮৪,৫০০ পরিবারকে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা থেকে মোট ২৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছেছে। ৭৭টি রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। বাকীদের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।

এদিকে, সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত মোট ২হাজার ৫৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে আরো ৩ হাজার ৫২৬ জনকে। এছাড়া মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে আসোলেশনে রয়েছে ২জন এবং যুবউন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে আরো ৭ জন। এদিকে বৃহস্পতি সাতক্ষীরা শহরের রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ায় জ¦র, সর্দি, কাশি ও শ^াসকষ্ট নিয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়েছে হৃদরোগজনিত কারণে রেহানার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে রেহানা খাতুনকে নিয়ে সাতক্ষীরায় সর্দি কাশি ও জ¦রে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ এ। অন্যরা হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র এমএ হাসান, তালা উপজেলার পাটকেলঘটা বাজারের নৈশ গ্রহরী আবদুর রহিম, আশাশুনির কাকবাসিয়া গ্রামের কলেজ প্রভাষক রেজাউল করিম ও কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের গৃহবধূ রাশেদা খাতুন। তাদের কারও রক্তে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এদিকে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে  সাতক্ষীরাকে করোনা মুক্ত করতে রাত-দিন কাজ করার পাশাপাশি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ  বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেন গ্রহণ করেছে। সামাজিক দুরুত্ব বজায়ে রাখতে টহল নিয়মিত করেছে। পোস্টার, মাক্স, মাইকিং এবং ড্রোন ব্যবহার করে বখেটেদের খোঁজ করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায়ে রাখার পাশাপাশি কয়েক হাজার অসহয়দের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে।এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ জীবাণু নাশক ঔষধ ছিটাচ্ছেন তেলবাহী ট্রাকের মাধ্যে।

করোনা ঠেকাতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। সেখানে দুটো এ্যামব্লুয়েন্স নিয়ে ১৫-২০ জনের একটি টিম সব সময় প্রস্তুত। যেকোন করোনা রোগী পাওয়া গেলে ছুটে যাবে জেলা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম। তাছাড়া পুলিশ সদস্যদের করোনা ভাইরাস উপসর্গ দেখা দিলে তাদের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে কোয়ারান্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে। সেখানে পুলিশ সদস্যদের কে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া পুলিশ সুপারের মোবাইলে ম্যাসেস দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১২০০ টি পরিবারের প্রতি পরিবার ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু,২ কেজি পিয়াজ, ২ কেজি ঢাল, ১ কেজি লবণ ও ১ টি সাবান পেয়েছেন। যেটা সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং ফর্ম সাতক্ষীরার পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ অব্যহত আছে।সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে জানানো হয়েছে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক জেলার আটটি থানার পুলিশ করোনা ঠেকাতে মাঠে নেমে কাজ করছে।

ত্রাণ বিতরণের সাথে সাথে পুলিশ মানুষকে ঘরে ফেরাতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করছে। এমন কি করোনা উপসর্গে কেউ মারা গেলে আত্মীয় স্বজন রা পাসে না আসলে সাতক্ষীরার পুলিশ তাদের পাসে দাড়াচ্ছে।। সম্প্রতি করোনা উপসর্গে মারা গেলে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ মৃত ব্যক্তির জানাজা ও দাফন কার্য সম্পাদন করেন। যেটি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সুনামের সহিত প্রকাশিত হয়েছে এবং সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের ভাবমুর্ত্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

এদিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেণ গ্রহণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের দপ্তর থেকে পাওয়া প্রেস নোট থেকে সূত্রে জানা গেছে, ১ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সারা বিশ্বের নানা দেশ থেকে প্রায় ১১,২৪৮ মানুষ সাতক্ষীরায় এসেছিলেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের বাড়িতে লাল পতাকা এবং স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে ১১,২৪৮ লোকের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছিল। জেলা পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছিল।
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিস্কার না হওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাজিব দূরুত্বকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এই বিষয়ে মাইকিং করে সচেতনার পাশাপাশি আইন অমান্যকারীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে মোট ২০৬৬টি মামলায় ২০১৮জন ব্যাক্তি ও ৪৮টি প্রতিষ্ঠানকে ২০,৭৪,৫৮৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও সরকারি আদেশ অমান্য করে ৬টার পর দোকান খোলা রাখা এবং বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার অপরাধে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে সর্বশেষ তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ১৮ মামলায় ১৮ জনকে ১৬০০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে কালিগঞ্জ উপজেলায় ১ মামলায় ২০০০ টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ১টি মামলায় ২০০০ টাকা, আশাশুনি ৭টি মামলায় ১৮০০টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ২মামলার ১০০০টাকা এবং জেলা প্রশাসনের ৬মামলায় ৯০০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এদিকে গত ১৪ দিনে নারায়নগঞ্জ, মাদারিপুর এবং শরিয়তপুর থেকে লক ডাউনের মধ্যেও ১২হাজারের বেশি মানুষ সাতক্ষীরা জেলাতে এসেছে। যারা ফিরে আসছেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২১২জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এবং অন্যান্যদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক নিজে গত ৪ দিনে সকল উপজেলায় গিয়ে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরকে গ্রাম কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন আগত সকলের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এদিকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে জেলা প্রশাসন জেলাবাসীর প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে, সকল ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়া, ঘরে বসে নামাজ ও ইফতার করা, জনসমাগম না করে ইফতার করা, রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। এছাড়া, মিষ্টির দোকানে ইফতার বিক্রি নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য ঘোষণা করেছেন তিনি।
এদিকে ইতোমধ্যে ৮৪,৫০০ পরিবারকে সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলাতে মোট বরাদ্দ পাওয়া গেছে ১১০০ মে. টন চাল, নগদ ৫০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য পাওয়া গেছে ১০ লক্ষ টাকা।
জেলা প্রশাসক জানান, ইতোমধ্যে ৮৩ হাজার ৮০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর অফিসে ত্রাণ তহবিল খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে জেলা প্রশাসকের ঈদ বোনাস, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ, জেলা কৃষি বিভাগ তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য হিসেবে প্রদান করেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান ১ লক্ষ টাকা নগদ অনুদান দিয়েছেন।


এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি পৌরসভায় ওয়ার্ডভিত্তিক এবং ইউনিয়নভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে। নো প্রফিট নো লস’ ধারণাকে সামনে নিয়ে বাজার থেকে কেনা মূল্যে বিক্রয় করা হয় সকল পণ্য। প্রতিটি দোকানের চারিদিকে চুন দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে এবং ৩ ফুট দূরত্বে গোলাকার চিহ্নের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছেমূলত জনগণের দোরগোড়ায় বাজার পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে চালু হয়েছে এই ভ্রাম্যমাণ বাজার। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত ১২ এপ্রিল থেকে এই ভ্রাম্যমাণ বাজার শুরু হলেও বর্তমানে প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি বাজারকে স্থানীয় মাঠ বা খোলা জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

বাজারে জনসমাগম কমাতে জেলা প্রশাসনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে চালু হয় ভ্রাম্যমাণ বাজার। শহরের সিটি কলেজ মোড় হয়ে খুলনা মোড়, পলাশপোল স্কুল মোড়, সংগীতার মোড়, ইটাগাছা মোড়, শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক, পুরাতন সাতক্ষীরা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে অবস্থান করে এই বাজার। চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, মরিচসহ সকল স্থানীয় উৎপাদিত সবজি সুলভ মুল্যে পাওয়া যায়। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে পাঁচটি করে ভ্রাম্যমাণ বাজার চালু করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়ত বলেন, করোনা মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।
১ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সারা বিশ্বের নানা দেশ থেকে প্রায় ১১,২৪৮ মানুষ সাতক্ষীরায় এসেছিলেন। তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে লাল পতাকা এবং স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে ১১,২৪৮ লোকের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছিল।


প্রস্তুুতির বিষয়ে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যাক্তির চিকিৎসায় ০৩টি এ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে, ৮টি ভেন্টিলেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে, ২০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২০ টি নেবুলাইজার প্রস্তুত রয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ৫৪ টি বিছানা প্রস্তুত রয়েছে।

সুত্র: পত্রদূত নেট।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন