প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আরও দুই সদস্য মারা গেছেন। তাদের একজন এএসআই এবং অন্যজন কনস্টেবল। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এই দুইজনকে নিয়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট চার পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হলো।
মারা যাওয়া দুইজন হলেন- ডিএমপির পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণে কর্মরত এএসআই আব্দুল খালেক এবং ট্রাফিক উত্তরের এয়ারপোর্ট এলাকায় কর্মরত কনস্টেবল আশেক মাহমুদ। আব্দুল খালেকের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামে। তার বাবার নাম আজিম উদ্দিন মৃধা। আর কনস্টেবল আশেক মাহমুদের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়।
জানা যায়, প্রাথমিকভাবে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় এএসআই আব্দুল খালেককে আরামবাগে একটি হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নেয়া হয়। বুধবার পরীক্ষার জন্য তার শরীর থেকে নমুনা পাঠানো হলে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। গতকাল রাতে আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
অন্যদিকে ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরের সহকারী কমিশনার (এডমিন) বদরুল হাসান বলেন, ট্রাফিক উত্তরের এয়ারপোর্ট এলাকায় কর্মরত কনস্টেবল আশেক মাহমুদের করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ায় তাকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুলিশ তত্ত্বাবধানের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টারে রাখা হয়। গত ২৬ এপ্রিল করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ আসে। বুধবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
এর আগে ডিএমপির ওয়ারী থানার কনস্টেবল জসিম উদ্দিন ২৮ এপ্রিল রাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর পরদিন সকালে তার করোনা টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া হিসাব মতে, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত পুলিশের সংখ্যা ৩৩৬।
সুত্রঃ ঢাকা টাইম্স টুয়েন্টি ডটকম।