করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিদিন কোনো না কোনো মানুষকেই সরকারি সহযোগীতা বা মুখে হাসি মুখে কথা বলে মানুষের নূন্যতম নাগরিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী।সেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফনি বলেন আর বৈশ্যিক দূর্যোগ করোনা বলেন প্রত্যেকটি প্রাকৃতিক দূর্যোগে তাকে দেখা যায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে।
করোনায় লক ডাউন পরিস্থিতির মধ্যে যখন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কর্মহীন মানুষেরা খাবার সংকটে পড়েছিলেন তখন ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামলের নির্দেশনা মোতাবেক করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক পরিবহন শ্রমিকদের বাস টার্মিনালে গিয়ে তিনি পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে সরকারী ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দেন।
এক কথায় মানবতার ফেরিওয়ালা বল্লেও তাকে ভুল হবেনা। তিনি যখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তখন তিনি খুব মানবতার সহিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মানুষকে আর্থিক দন্ড দেন। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় মাস্ক না পরলে ১ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান থাকলেও তিনি সর্বোচ্চ ২০০-৫০০ টাকা জরিমানা করেন এবং প্রথমবার অপরাধী সে সতর্ক করে দিয়ে বলেন নেষ্ট টাইমে কিন্তু আর ছাড় হবেনা।
এত তো চলতি মাসের ২৩ তারিখে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে সাতক্ষীরা সদরের রাজারবাগান নিবাসী আমজাদ আলীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি জানতে পরে নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী আজ ৩০ জুন রোজ মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগমকে তার কার্যালয়ে ডেকে ১৫০০০/= পনেরো হাজার টাকার ত্রাণ কার্য নগদ অর্থের চেক তুলে দেন। নির্বাহী অফিসারের এমন মানবিক আচরণে মুগ্ধ হয়ে নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম বলেন দুনিয়ায় এখনো ভালো মানুষ আছে বলে রোজ কেয়ামত আসেনি।
অপরদিকে গত ২৭ জুন ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে বালিথার মোহন ঘোসের পুত্র ভাড়া মোটরসাইকেল চালক প্রসাদ ঘোষ বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটে দূর্ঘটনায় অগ্নি দগ্ধ হয়ে তার বাড়ির সমস্ত আসবাব পত্র ও তার আয়ের একমাত্র উৎস মটর সাইকেলটি আগুনে পুড়ে যায়। প্রসাদ ঘোস ও তার মা সাতক্ষীরা সদর হসপিটালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছেন। সম্বলহীন-কম্বলহীন প্রসাদ ঘোষ তার শারিরীক চিকিৎসা ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য সাহায্য চেয়ে আবেদন করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে। প্রসাদের সাহায্যের আবেদন পেয়ে নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী ও পিআইও ইয়ারুল ইসলাম ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করতে সোজা চলে যান বালিথায় প্রসাদ ঘোষের বাড়িতে।ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী ও পিআইও ইয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি F Form প্রস্তুত করেছেন।
অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত ফর্মটি সহ অগ্নিদগ্ধ প্রসাদ ঘোষের আবেদন টি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী । আশাকরা যাচ্ছে খুব দ্রুত অগ্নিদগ্ধ প্রসাদ ঘোষ তার চিকিৎসার জন্য ও সংসার চালানোর জন্য সরকারী সহায়তা পেয়ে যাবেন।
এঘটনাই শেষ না ঘূর্ণিঝড় আমপানে উড়ে যায় পরানদহ নেবাখালির বিধবা সখিনা খাতুনের চালের টিন। সাহায্যের জন্য আবেদন করলে মঙ্গলবার দুপুরে সখিনা খাতুন কে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উপহার দুই ব্যান্ডেল টিন ও ৬ হাজার টাকা প্রদান করেন গৃহ মেরামতের জন্য।
তাই পরিশেষে বলা যায় জয় হোক মানবতার……. মানবতা বেঁচে থাক যুগযুগ ধরে। এমন মানবিক ইউএনও দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় তৈরি হোক মুজিববর্ষে।