নিখোঁজের ১০দিন পর ইজিবাইকচালক কিশোর ময়নুল রহমানের (১৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল এলাকার একটি ইটভাটার সেপটিক ট্যাংক থেকে আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ইজিবাইকচালকের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাঁকরকি গ্রামে। তার বাবার নাম সুরত আলী।
ময়নুলের চাচা আফসার আলী জানান, ময়নুল প্রতিদিনের মতো ইজিবাইক নিয়ে ৩১ জুলাই সকাল নয়টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো সন্ধান না পেয়ে ১ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর এ ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হয়। একপর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের হুমায়ন কবীরকে আটক করা হয়।
তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল এলাকার আবদুস সবুরের মালিকানাধীন ইটভাটার সেপটিক ট্যাংক থেকে ময়নুল রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদুজ্জামান জানান ময়নুলের ইজিবাইকটি শ্রীরামপুর গ্রামের হুমায়ন কবীরের শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ময়নুলের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।ওসি আরো জানান এবিষয়ে নিহতের পিতা বাদী হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মো: আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন, সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন বিপ্লব কান্তি মন্ডল ও সঙ্গীয় ফোর্স সোমবার দুপুরে হুমায়ন কে সাথে নিয়ে সদর উপজেলার বাঁকাল এলাকার একটি ইটভাটার সেপটিক ট্যাংক থেকে মইনুলের লাশ উদ্ধার করে।