স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় বহুবিবাহের হোতা খাজা নাজিমুদ্দিন গ্রেফতার

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 313 দর্শন

 

সাতক্ষীরায় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আটক হয়েছে বহুবিবাহের হোতা খাজা নাজিমুদ্দিন (৪৮)। বুধবার রাতে প্রথম স্ত্রী মাছুমা খাতুনের  দায়ের করা মামলায় গভীররাতে সাতক্ষীরা থানার এসআই আহম্মদ আলীর নেতৃত্বে সদর থানার এএসআই নির্মল ও সঙ্গীয় ফোর্স শহরের মাগুরা তালতলার বাসা থেকে তাকে আটক করে।

সাতক্ষীরা থানার মামলা নং ২৬ তারিখ: ১৩/০৮/২০২০ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক জানা যায়, প্রায় তের বৎসর আগে শ্যামনগর উপজেলার  পাতড়াখোলা এলাকার মমতাজ উদ্দিন  বড় কন্যা মাছুমা খাতুন মুন্নার সহিত পারিবারিক দেখাশুনার মাধ্যমে বিবাহ হয় মুনসিপাড়ার আনসার আলীর পুত্র খাজা নাজিম উদ্দিনের সাথে।

মামলা সুত্রে আরো জানা যায়, বিয়ের পর বেশ কিছুদিন তাদের সংসার বেশ সুখের ছিলো কিন্তু কয়েক বৎসর যেতে না যেতে নাজিম উদ্দিন বাড়ি নির্মান করবে বলে পাঁচ লক্ষ টাকা চান তার শ্বশুর মমতাজ মড়লের নিকট।মেয়ের পিতা মমতাজ মড়ল মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার জামাতা নাজিম উদ্দিন কে ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।

সেই টাকা নিয়ে খাজা নাজিম উদ্দিন শহরের মুনসিপাড়া এলাকায় তিনকাঠা জমির উপরে একটি একতলা বাড়ি তৈরি করেন।বেশ ভালোই চলছিলো নাজিম উদ্দিন ও মাছুমার দাম্পত্য জীবন। তাদের ৮ বৎসরের একটি ফুটফুটে সন্তান ও আছে। যার নাম রিমন। কিন্তু ফুটফুটে সন্তান ও স্ত্রী রেখে নারীলোভী নিজাম উদ্দিন পুনরায় বিবাহ করে। নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী ও মামলার বাদী মাছুমা খাতুন জানান তার স্বামী দীর্ঘ তের বৎসর তার সাথে সংসার করা কালে ৬ মাস পর অথবা এক বৎসর পরপর একটি করে বিবাহ করে।তিনি বলেন এ পর্যন্ত তার স্বামী নিজাম উদ্দিন (প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে) এ পর্যন্ত  সর্বমোট ৬ টি বিবাহ করেন।

মাসুমা খাতুন প্রতিবেদক কে বলেন, কয়েক মাস আগের থেকে পুনরায় আমার স্বামী আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসাবে দাবী করে। আমি ও আমার ভাই মিঠু  টাকা দিতে অপারগতা জানালে শুরু হয় আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন। মাছুমা খাতুন আরো বলেন হাতের কাছে যা পেতো তাই দিয়েই নিজাম উদ্দিন আমাকে মারতো। কোথায় লাগে তা দেখতো না। একপর্যায়ে সে কয়েক মাস আগে ফাতমা খাতুন নামক তার মামাতো বোন কে আমার অনুমতি ছাড়াই সে বিয়ে করে মাগুরার তালতলার  বাড়িতে বসবাস করে।

অথচ সে তার মুনসিপাড়াস্থ বাড়িতে আমাকে ও আমার ছেলেকে রাখে কিন্তু কোনো রকম আমাদের ভরণপোষণের খরচ দেন না। মাছুমা বলেন, এক পর্যায়ে গত ০৭/০৫/২০২০ তারিখে আমার স্বামী আমাকে দরজার হাক দিয়ে মেরে পুরো শরীর রক্তাক্ত জখম করে দেয় পরে আমি শহরের জজ কোর্ট মোড়ের সামনে থেকে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের চেম্বার থেকে চিকিৎসা নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে আসি।চিকিৎসক আমাকে হসপিটালে ভর্ত্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও আমার পিতা ও ভাই মানসন্মানের ভয়ে আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি।

পরে আমি আমার স্বামীর নামে গত ১৬/৫/২০২০ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করি।যেটার তদন্ত করেছিলেন সদর থানার এএসআই মনির।মাছুমা খাতুন আরো বলেন আমার পরিবার অনেক চেষ্টা করেছে তার সাথে আমার ও আমার এক মাত্র সন্তানের মিলমিশ করে দিতে কিন্তু সে কোনো ভাবেই আমাকে ও আমার ছেলে কে মেনে নিতে চায় না। এক পর্যায়ে আমার পিতা ও ভাইয়ের পরামর্শ  মোতাবেক আমি আমার লম্পট স্বামী খাজা নিজাম উদ্দিনের নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করি।পরে আজ সকালে জানতে পারি সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ আমার স্বামীকে  গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন