সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় অবস্থিত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অদূরে বাঁকাল ব্রীজ, সেখান থেকে বামে কয়েক কদম যেতে না যেতেই চোখের সামনে চলে আসে সম্পূর্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বাঁকাল ডিসি ইকো পার্ক। জানা যায়, ২০১৮ সালের ১লা জানুয়ারী তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মোঃ মহিউদ্দিনের উদ্যেগে বাঁকাল ডিসি ইকো পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে নানাভাবে সজ্জিত হয় পার্কটি। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে গত কয়েক মাস যাবৎ বন্ধ থাকার পর পূনরায় পার্কের কার্যক্রম চালু হওয়াতে এলাকাবাসিসহ পার্কে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের মনে উৎসাহ ও আনন্দ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানান, প্রততিদিন শত শত দর্শনার্থী বেড়াতে আসে এই ডিসি পার্কে। কিন্তু হঠাৎ করে পার্কের কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি পার্কে নির্মিত বাচ্চাদের চড়ার ট্রেনটি পার্ক থেকে তুলে নিয়ে যাওয়াতে দর্শনার্থীদের মনে সংশয়ের সৃষ্টি হয়, প্রশ্নদ্ধি করে দর্শনাথীদের।
কিন্তু সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাতক্ষীরার বর্তমান জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরীর তত্বাবধানে পুনরায় বাঁকাল ডিসি ইকো পার্কের কার্যক্রম চালু হওয়াতে দর্শনাথীদের মনে খুশি বিরাজ করছে। পার্কে চলার জন্য পাকা রাস্তা, পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফুল বাগান, দর্শনার্থীদের বসার জন্য গোল চত্বও সহ নানাভাবে সজ্জিত হবে ডিসি ইকো পার্ক এমনটিই জানান পার্কে কর্মরত কন্ট্রাক্টর।
এছাড়াও পার্কে বেড়াতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীদের কাছে পার্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে চাইতে চাইলে তারা জানান, পার্কটি সাতক্ষীরা সদরের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। পার্কের তেমন কোনো কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তারপরও এখানে প্রতিনিয়ত আমরা ঘুরতে আসি। বর্তমান সময়ে এ ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ পাওয়া যায় না। চারদিকে শুধু দূষণ আর কোলাহলে অসুস্থ মস্তিস্ক নিয়ে আমরা এখানে এসে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারি। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব পার্কটিকে পূর্ণাঙ্গরূপ দেয়া হোক।এদিকে ডিসি ইকোপার্কের নির্মাণাধীন সৌন্দর্য বদ্ধনের কাজ পরিদর্শন করতে নিয়মত সেখানে যাচ্ছেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী।