পুলিশের তৎপরতায় বাউফলে চোখ উৎপাটনের মূল আসামি গ্রেপ্তার

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 853 দর্শন

 

বাউফলে অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে চোখ উৎপাটনের মূল আসামি সোহেল মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করেছে পুৃলিশ। বাউফল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় শুক্রবার রাতেই ঢাকার লালকুটি লঞ্চঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের এই ভূমিকায় সাধারন মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরের দিকে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বীপাশা খেয়াঘাট উঁচু ব্রিজের কাছে একটি চায়ের দোকানের সামনে মিন্টু মৃধা (৪০) নামের এক মাছ ব্যাবসায়িকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ সোহেল মাতুব্বর ও তার ভাই মিজানুর রহমান মাতুব্বর তাদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মুখের চোয়ালের একাংশ ও ডান পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর সোহেলের নেতৃত্বে অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে মিন্টুর বাম চোখ উৎপাটন করে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে।

এমন নৃশংস ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলে পটুয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে গোপনে জানতে পারেন, চোখ উৎপাটনের মূল হোতা সোহেল মাতুব্বর বাউফল থেকে মটর সাইকেলযোগে বরিশাল গিয়ে সেখান থেকে গ্রীন লাইন লঞ্চে ঢাকা যাচ্ছেন। এমন খবরের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। রাত ১০ টার দিকে গ্রীন লাইন লঞ্চটি লালকুটি ঘাটে নোঙর করলে লঞ্চ থেকে নামার সময় সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এদিকে নৃশংস ওই ঘটনা পর এলাকার মানুষের মধ্যে অজানা আতংক বিরাজ করছে।

একটি সূত্রে জানা গেছে, সোহেল ও মিজান কয়েকদিন আগে মিন্টুর করা একটি মামলায় সাজা খেটে জেল থেকে ছাড়া পায়। আজ শনিবার মিন্টু মৃধার মেয়ে সোনিয়া আক্তার জানায়, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই আমার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সোহেল ও মিজানের নেতৃত্বে এরকম নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার পর শুক্রবার রাতে মিন্টুর স্ত্রী রাজিয়া বেগম বাদি হয়ে সোহেলকে প্রধান আসামি করে পাঁচজন এবং অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, মিন্টু মৃধা ও সোহেল মাতুব্বরদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। মিন্টু একটি হত্যা মামলাসহ চারটি মামলার আসামি। অপরদিকে সোহেল ও মিজানও একাধিক মামলার আসামি। তাদের ওই মামলা মোকদ্দমার জেরকে কেন্দ্র করেই শুক্রবারের লোমহর্ষক ওই ঘটনা ঘটেছে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন