খুলনা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার বলেছেন, গ্লোবাল প্যান্ডামিকে আমরা এখন অতিমারির মধ্য দিযে যাচ্ছি,এটা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিলো তবে বাংলাদেশে ২০২০ সালের মার্টের দিকে শুরু হযেছে।এপর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন গৃহিত পদক্ষেপ,স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় করোনা পরিস্থিতি সহনশীল পর্যায়ে ছিল।আপনারা লক্ষ করেছেন সম্প্রতি ইন্ডিয়ান যে ভেরিয়েন্ট সেটি ইন্ডিয়াকে প্রায় বিধ্বস্ত করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, রাজশাহী রেঞ্জ ও খুলনা রেঞ্জে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ডেল্টা যেটি বাংলাদেশে সনাক্ত হচ্ছে।
ডিআইজি বলেন,সপ্তাহ খানিক যাবৎ খুলনা রেঞ্জের সাতক্ষীরা*খুলনা সহ কয়েটি জেলায় সংক্রমনের হার ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।যেকারনে সরকারের পক্ষ থেকে উপজেলা পর্যায়ে কঠোর লক ডাউনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হযেছে।
তিনি বলেন,জীবন ও জীবিকা দুটোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তবে জীবন আগে জীবিকা পরে। তিনি বলেন আমরা এবিষয়ে বহুবার আমাদের উদ্ধর্ত্তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি।আপনারা গণমাধ্যম,রাজনীতিবিদ,ব্যবসায়ী,সকল পেশার মানুষ আজ থেকে কঠোর লক ডাউন বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ কে সহযোগীতা করবেন।
ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার সাংবাদিকদের বলেন, বলেন,সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ লক ডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। জেলার সময় কয়টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে, যেনো মুভমেন্ট না হয়।তিনি আরো বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে লক ডাউন এটি সম্ভব নয়। ব্যক্তি,পরিবার, সমাজের সকলের সচেতনতা ও সহযোগীতাই পারে সাতক্ষীরা জেলাকে করোনা মুক্ত করতে।
শনিবার সকালে সাতক্ষীরার লক ডাউন পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফ করার সময় উপরোক্ত কথা গুলো বলেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড.খ:মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার।
এসময় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান,হেড কোয়াটার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন,সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল হক,ট্রাফিক পুলিশের টিআই কামরুজ্জামান বকুল,সদর থানার ওসি দেলোযার হুসেন,জেলা ডিবির ওসি ইযাছিন আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।