ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানির পণ্য চুরি প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

সোমবার (১২ জুলাই) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পোশাক শিল্পের রফতানি পণ্য চুরি প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে এ অনুরোধ করেন বিজিএমইএ সভাপতি। এ সময় আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার সদস্য এবং বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে পোশাক খাতের রফতানি ও আমদানির মালামাল চুরির ঘটনা ঘটছে। এটা মাঝখানে কিছু সময় বন্ধ ছিল। এখন আবার ঘন ঘন এমন ঘটনা ঘটছে। এ মহাসড়কে একটি সংঘবদ্ধ চক্র চালকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রাতে কাভার্ডভ্যান থামিয়ে মালামাল চুরি করছে। অনেক সময় কার্টুনের ওজন ঠিক রাখার জন্য তারা কার্টুনে ঝুট, মাটি ইত্যাদিও ভরে দিচ্ছে। এরপর যখন সেই রফতানি পণ্য আমেরিকা ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছচ্ছে, তখন কার্টুন খুলে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে। এতে একদিকে সংশ্লিষ্ট রফতানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, অন্যদিকে দেশের সুনামও নষ্ট হচ্ছে, যা মোটেও কাম্য নয়। এ জন্য বিজিএমইএ নেতারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চুরি বন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে যেভাবেই হোক, রফতানি পণ্যের চুরি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতেই হবে। এ সময় তিনি চুরি বন্ধের জন্য উপস্থিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন স্থানে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, যা আগামী চার মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে।

এ সময় মন্ত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চুরি বন্ধের জন্য অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, হাইওয়ে পুলিশকে প্রধান করে বিজিএমইএ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এবং বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেন।

মন্ত্রী বলেন, এ কমিটির মূল কাজ হবে চুরি বন্ধে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রসিডিউর) নির্ধারণ করে দেওয়া।

সভায় সিনিয়র সচিব জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম-বার, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি,হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি গণ জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন  সহ উদ্ধর্ত্তন কর্মকর্তাগণ  উপস্থিত ছিলেন।

এসময়  বিজিএমইএর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, পরিচালক খসরু চৌধুরী ও পরিচালক হারুন উর রশিদ।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন