সাতক্ষীরাতে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৫৬ জন কৃতকার্য হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ সদস্য ৫৫ জন এবং নারী সদস্য তিনজন রয়েছেন। আরও ছয় প্রার্থী অপেক্ষায় রয়েছেন।
সোমবরার রাত দুইটার দিকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
জেলা পুলিশের সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীরা আনন্দে আপ্লুত হয়েছেন। তারা বিশ্বাসই করতে পারছেন না টাকা ছাড়াই তারা পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। নির্বাচিত হয়ে অনেকের কান্না উপস্থিত সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
পুলিশ সুপার (এসপি)মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামজানান, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে আপনারা সবাই আজ এ জায়গায় এসেছেন। পুলিশকে যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আপনাদের এ নিয়োগ অন্যতম একটি ধাপ। আপনাদের সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ফরিদপুর জেলার প্রাথমিকভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা সম্পূর্ণ তদবিরবিহীন, প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ সময় নিয়োগ বোর্ডের সব সদস্যসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নিয়োগ কার্যক্রমে নিয়োজিত সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আমার বাবা একজন মটরসাইকেলচালক। আমি মাত্র ১২০ টাকা দিয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে আবেদন করেছিলাম। কখনো ভাবিনি এই ১২০ টাকা দিয়েই আমার চাকরি হয়ে যাবে। ভাবতাম টাকা ছাড়া পুলিশে কোন চাকরি হবে না। আমি নিজে চাকরি পেয়ে বুঝতে পারলাম যে টাকা ছাড়াও পুলিশে চাকরি হয়। বলছিলেন নিয়োগ পাওয়া একজন মেয়ে।