বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১২৮ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় লালন আখড়াবাড়ীতে চলা তিন দিনের লালন স্মরনোৎসব’র আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় স্মরনোৎসবের মূল মঞ্চের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বক্তব্য শেষে লালন উৎসবের সমাপ্তি ঘোষনা করেন। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো: আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে সমাপনী আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে লালন ফকিরের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট লালন গবেষক এ্যাডড. লালিম হক । বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ.কে.এম জহিরুল ইসলাম। সাবেক ডিপুটি কমান্ডার রফিকুল আলম টুকু। তিনদিনের এই অনুষ্ঠানে সার্বিক পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক, শিক্ষা ও আইসিটি)তরফদার সোহেল রহমান। অনুষ্ঠান চলাকালীন দায়িত্ব পালন করেন লালন একাডেমীর সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান এডহক কমিটির সদস্য সেলিম হক।
আলোচনা শেষে গভীর রাত পর্যন্ত লালন একাডেমির শিল্পীরা মঞ্চে লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন।
উল্লেখ্য, মরমী সাধক লালন ফকিরের ১২৮ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে গত ১৬ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ীতে তিনদিনব্যাপী লালন স্মরনোৎসব ও লালন মেলা শুরু হয়। স্মরনোৎসবে লালনের দর্শন থেকে শিক্ষা নিতে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার লালন অনুসারী, ভক্ত ও দর্শনার্থীরা আখড়াবাড়ীতে তিন দিন অবস্থান করে। ভোর হতে না হতেই দুর দুরান্ত থেকে আসা লালন ভক্তরা নিজ এলাকায় ফিরে গেছেন। দর্শনার্থীরা বলেন তবে বেচে থাকলে পূর্নতার জন্য বার বারই লালন উৎসবে ফিরে আসবেন তারা। এবারের তিরোধান দিবসের প্রতিটি গান দর্শকদের ভালো লেগেছে বলে জানা যায়, লালনকে অনুসরন করে যারা চলবে তারা কখনো অন্যায় কাজের সাথে জড়িত থাকবে না এমনটাই প্রকাশ করেন লালন গবেষকেরা।
সুত্র; ৭১ নিউজ ডটকম।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন