সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোন সহিংস ঘটনা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসমূহ সচেষ্ট রয়েছে। কেউ ফৌজদারি অপরাধে লিপ্ত হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সংস্থা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক যে কোন সহিংস ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্ষম। তবে, সবকিছুতে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের জন্য ভালো নয়, সেটি হলে পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে যাবে। সহিংসতা ও উগ্রবাদ প্রতিরোধের জন্য জন্য সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ বাড়াতে হবে।
শুক্রবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে উগ্রবাদ-সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণদের সম্পৃক্তকরণ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সম্প্রীতি প্রকল্পের সহযোগিতায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ সংলাপ আয়োজন করে। সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, বঞ্চনাবোধ থেকেই তরুণদের উগ্রবাদ চেতনার জন্ম। শুধু সামাজিক ও অর্থনৈতিক বঞ্চনাই নয়, কিছু তরুণ বিশ্বাস করে ধর্মীয়ভাবেও তারা বঞ্চিত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় নির্যাতনের ঘটনায় তারা স্থানীয়ভাবে প্রতিশোধ নিতে চায়। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উগ্রবাদ বিস্তারের কারণ নিজ দেশের সংস্কৃতি ও দেশপ্রেম সম্পর্কে তাদের ধারণার অভাব।
তিনি আরো বলেন, উগ্রবাদ-সহিংসতা সৃষ্টির জন্য নিজের বিশ্বাস ও চিন্তাকে অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতাবোধ, সুস্থ চিন্তা শক্তির অভাব এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার অনেকাংশে দায়ী। এ সংকট উত্তরণে পারিবারিক সম্প্রীতি জোরদার, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া, তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে উগ্রবাদ বিরোধী সামাজিক সংলাপ উৎসাহিত করা এবং গণমাধ্যমে উগ্রবাদ-সহিংসতা বিরোধী প্রচারণা বাড়ানো প্রয়োজন।
সূত্র:খুলনার কন্ঠ ডটকম।