“দূষণ, দখল মুক্ত করি, নৌ যাত্রা নিরাপদ করি, বিশ্বমানের নৌ ব্যবস্থার স্বপ্নকে সফল করি”

এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৩০ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যপি ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০১৯’ পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ ঢাকায় সুন্দরবন লঞ্চ -১১-তে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষ্যে একটি নৌ র‌্যালী সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বের হয়।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মমহাপিরচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, নৌপুলিশের ডিআইজি শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল হক, সুন্দরবন লঞ্চের মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু এবং নৌপরিবহন অধিদফতরের চীফ ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার মোঃ মঞ্জুরুল কবীর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহন ব্যবস্থাকে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে ঢাকার নৌপথকে পুরাতন অবয়বে ফিরিয়ে আনা হবে। নদী তীরের দখল ও দূষণরোধ করে নদীর সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আবহমান বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে নদীর সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। এলক্ষ্যে নদীর সাথে সম্পৃক্ত জনগণ, নৌযান মালিক, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী খননে গত ১০ বছরে সরকার অনেক কাজ করেছে। নতুন নতুন ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে, আরো ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছ। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নিজ হাতে রেখে এর উন্নয়নে কাজ শুরু করেছিলেন। ৭১ এর পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিচারণে নদীর প্রতি ভালবাসা ও আনন্দময় ভ্রমণের উল্লেখ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে আমাদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন