অসত্য সংবাদ ও উস্কানিমূলক তথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে সোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম-বিএসআরএফ এর নবনির্বাচিত পরিষদের সভাপতি তপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদসহ পরিষদ সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: মুরাদ হাসান, সচিব আবদুল মালেক, প্রধান তথ্য অফিসার সুরৎ কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) নূরুল করিম সভায় অংশ নেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কোনো একটি সংবাদ সমাজে কি প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিবেচনা থেকেই গণমাধ্যমে সম্পাদনার প্রবর্তন, কারণ বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি অসম্পাদিত বা আন-এডিটেড প্লাটফরম।
এখানে যেকোনো সময় যে কেউ যেকোন কিছু ব্যক্ত করতে পারে। ফলে সমাজে অনেক ক্ষেত্রে অস্থিরতা, হানাহানি, জাতিগত সংঘাত সৃষ্টি হয়। শুধু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নয়, এটি বিশ্বব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ এবং সকল রাষ্ট্রে এনিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন এ ধরণের কোনো অসত্য বা উস্কানিমূলক তথ্য পরিবেশিত হয়, সেটির বিরুদ্ধে যদি সেই মাধ্যমের পাশাপশি গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে আপনারাও সোচ্চার হন, তাহলে সমাজ অনেক কিছু থেকে রক্ষা পাবে’, বলেন ড. হাছান।
‘জাতি ও সমাজের প্রয়োজনে এক্ষেত্রে সরকার, গণমাধ্যম এবং সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন’ , বলেন তথ্যমন্ত্রী।
‘সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরাম এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সংগঠন, এর কাজের পরিধি অনেক বিস্তৃত, প্রয়োজনীয়তাও অনেক’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের পরিবারেরই একজন সদস্য। সেই হিসেবেই আমি প্রথম থেকেই কাজ করার চেষ্টা করছি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এই গণমাধ্যমের অভাবনীয় বিকাশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই হয়েছে।
১৯৯৬ সালে যখন তিনি সরকার গঠন করেছেন তখন থেকেই বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে, প্রথম বেসরকারি টিভি, রেডিও সবই তাঁর অবদান। গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরও ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।’
‘সরকার, দেশ ও সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব পালন যাতে সঠিক হয়, সমাজ যাতে সঠিক খাতে প্রবাহিত হয় সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে। এবং সেই দর্পণে দৃষ্টিপাত করে সরকার অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং অনেক সিদ্ধান্ত বদলায়।’
বিএসআরএফ সভাপতি দৈনিক জনকন্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি তপন বিশ্বাস উত্থাপিত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টিপাত করে মন্ত্রী তথ্য অধিদফতর থেকে সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র দেয়া
ত্বরান্বিত করা, পেশাগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, গণমাধ্যম কেন্দ্রে অফিস কক্ষ স্থাপন ও সচিবালয়ে সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য পাঁচ নম্বর ফটক ব্যবহারের ব্যবস্থার উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।