ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কটূক্তিমূলক কিছু বার্তাকে কেন্দ্র করে ভোলায় যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এ ব্যাপারে সরকার তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এই ঘটনার পেছনে প্রকৃত অপরাধী কে তা শনাক্ত করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিগত তিন দিনের তথ্য চেয়েছে সরকার।
সোমবার মন্ত্রণালয়ে তিনি কার্যালয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগামী দুই বা তিন দিনের মধ্যে তথ্য পেয়ে যাব এবং এই তথ্য ভোলার এই ঘটনার পেছনের দোষীদের শনাক্ত করতে সহায়ক হবে।’
মন্ত্রী দেশবাসীকে ধৈর্য ধারণ করে আরও দুই-তিনদিন অপেক্ষা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে মামলা করেছে এবং অভিযুক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারী এবং হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্তে যারা পরে দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
কামাল বলেন, ‘ভোলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে হ্যাকার এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী দু’জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।’
মন্ত্রী জানান, ঘটনার পরপরই তিনি ভোলার পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এসপি জানিয়েছেন, ওখানে একটি সমাবেশ করা হয় এবং সমাবেশের পরে দুই থেকে তিন শতাধিক লোক পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
কামাল বলেন, ওখানে এক শ্রেণির লোক বেরিয়েছিল গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে।
এর আগে, রবিবার ভোলায় বিপ্লব চন্দ্র শুভ (আসল নাম বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য)-এর ফেসবুক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া একটি স্ক্রিনশটকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এতে চারজন নিহত এবং শতাধিক লোক আহত হয়।
ভোলার এসপি সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য দাবি করেছেন যে, তার অ্যাকাউন্টটি হ্যাকার ব্যবহার করে আপত্তিকর মন্তব্যগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে।