ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন নজির বিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন। শনিবার সরকারি ছুটি থাকলেও তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে সরকারি চাকুরী জীবীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।শনিবার ভোর বেলা থেকে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বর্ষাকাঁদা উপেক্ষা করে বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন এবং উপকূলীয় এলাকা থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯২ হাজার বুলবুল আক্রান্ত  পানি বন্ধি মানুষ কে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী ভোর সকালে বর্ষাকাঁদা উপেক্ষা করে সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নে যান এবং ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুর রহমান কে প্রধান করে একটি কট্রোল রুম ও মনিটরিং সেল গঠন করে এল্লাচর নদীর পাসে বসবাসকারীদের কে সরিয়ে এনে ফিংড়ির সাইক্লোন সেন্টারে নিরাপদ স্থানে পৌছে দেন। এসময় ইউএনও ও চেয়ারম্যানের ব্যবস্থাপনায় ঘূর্ণীঝড় বুলবুল আক্রান্ত মানুষের কে শুকনা খাবার,পানি বিশুদ্ধ ট্যাবলেট সহ তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল নিশ্চিত করা হয়।

অপরদিকে সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এঁর নির্দেশনা মোতাবেক শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান ভোর রাত থেকে নুর নগর, কাশিমারী,নিল ডুমুর,আঠুলিয়া পরিদর্শন করেন এবং সেখান থেকে শতশত মানুষ কে টলারের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্রেে নিয়ে আসেন। শুধু তাই নয় বুলবুল আক্রান্ত মানুষদের দ্রুত আশ্রয়
কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য নিল ডুমুর স্কুলের সামনে ইউএনও কামরুজ্জামান ৫ টি যাত্রীবাহী বাস অপেক্ষামান রেখেছেন।সেই বাস যোগে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আক্রান্ত মানুষদের কে নিরাপদ স্থলে আনা কাজ এখনো চলছে।

তাছাড়া, কারিগঞ্জের নির্বাহী অফিসার, দেবহাটার নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন,আশাশুনির নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, তালার নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন, কলারোয়ার নির্বাহী অফিসার আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ শনিবার ভোর থেকে বষাকাঁদা উপেক্ষা করে নিজ নিজ এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যহত রেখেছেন। উদ্ধার অভিযানে ইউএনও শ্যামনগর কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে শ্যামনগর থানা পুলিশ, কোষ্টগার্ড সদস্য বৃন্দ ও কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক অংশ গ্রহণ করে এখনো পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে শনিবার সকালে সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এঁর পক্ষ থেকে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার যে সকল জেলেরা এখনও মাছা ধরার ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে অবস্থান করছেন, তাদেরকে নিরাপদ স্থানে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে এবং নতুন করে কোন জেলেকে উপকূল থেকে সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন