সরকারের দেয়া ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না জানিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। বলেছেন, ‘সরকারি ত্রাণ চুরি বা অনিয়মকারীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এজন্য তিনি মাঠ পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশও দিয়েছেন।
রবিবার দুপুর তিনটা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলে আইজিপি।
এসময় তিনি চাল চুরি ঠেকাতে পুলিশকে কঠোর হতে বলেন।
পুলিশপ্রধান বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করে পুলিশ সদস্যরা দেশকে স্বাধীন করেছিল, যা বাঙালি জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দুর্যোগপূর্ণ সময়ে পুলিশ যেভাবে জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আইজিপি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যে সকল স্থানে লকডাউন করা হয়েছে, তা সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। জনগণকে ঘরে থাকতে হবে। বাইরে আড্ডা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। বিরাজমান করোনা পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগতভাবে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে ত্রাণ বিতরণের জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান আইজিপি। তিনি বলেন, সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রেখে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে।
আইজিপি বলেন, ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। সরকারি ত্রাণ চুরি বা অনিয়মকারীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চুরি, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধ বেড়ে যেতে পারে। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বাড়তে পারে। কোনোভাবেই যেন এ ধরনের অপরাধ বাড়তে না পারে সেদিকে নজরদারি বাড়াতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন আইজিপি।
আইজিপি তার দুই বছর তিন মাসের কর্মকালীন সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি প্রথম দিন থেকেই বলেছি, ‘আমি জনতার পুলিশ হতে চাই, মানবিক পুলিশ হতে চাই। জনগণের পুলিশ হতে চাই।’
নবনিযুক্ত আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদকে অভিনন্দন জানিয়ে আইজিপি বলেন, তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তিনি মেধা, দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও উদ্যমী শক্তি দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন।