করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্ভাবিত মোবাইল এ্যাপস ‘কৃষকের হাসি’-এর মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আজ (শনিবার) কৃষকের নিকট থেকে বোরাধান ক্রয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ধানক্রয় কার্যক্রম উপলক্ষে দুপুরে খুলনার মহেশ^রপাশা সিএসডি চত্বরে দিঘলিয়া উপজেলার কৃষকদের নিকট থেকে মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বোরোধান ক্রয়ের উদ্বোধন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
উদ্বোধনকালে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ^ব্যাপী আজ শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি ও সেবাভিক্তিক অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়লেও কৃষিভিক্তিক অর্থনীতি টিকে আছে। কৃষকরা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতিও সচল থাকবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবছর খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার কৃষকদের নিকট থেকে মোবাইল এ্যাপস ‘কৃষকের হাসি’ এর মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে প্রায় ৭০১ মেট্রিক টন বোরোধান ক্রয় করবে।
‘কৃষকের হাসি’ এ্যাপসের মাধ্যমে বর্তমানে শুধু দিঘলিয়া উপজেলা থেকে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে খুলনার অন্যান্য উপজেলা হতেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধান ক্রয় শুরু হবে। উদ্বোধনী দিনে দিঘলিয়ার কৃষকদের কাছ থেকে ৪.৬৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।
গুগল প্লে-স্টোর থেকে ‘কৃষকের হাসি এ্যাপটি সহজে ডাউনলোড করা যাবে। এই এ্যাপসের মাধ্যমে কৃষক মধ্যস্বত্ত্বভোগীর খপ্পরে না পড়ে ন্যায্যমূল্যে তাঁর উৎপাদিত ধান বিক্রি করতে পারবেন।
এসময় খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাহবুবুর রহমান, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুবুল আলম সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাফিজ-আল-আসাদ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উদ্ভাবিত মোবাইল এ্যাপস ‘কৃষকের হাসি’-এর বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।