সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেছেন, শিল্পীরা সমাজের নিভৃতচারী। তারা মানুষকে আনন্দ দেয় এবং নিজে আনন্দ পায়। আর একটু ডাল ভাত হলেই খুশি থাকে তারা। কিন্তু সমাজের মানুষকে আনন্দ দিলেও তারা কারো কাছে হাত পাতে না। উচ্চ বিত্তদের জন্য সরকারের প্রণোদনা এবং গরিবদের মধ্যে সরকারের সহযোগিতা থাকলেও নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য কিছুই নেই। শিল্পীরা অধিকাংশ নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তারা কষ্টে থাকলেও কারো কাছে প্রকাশ করতে পারে। তারা অত্যন্ত কষ্টে আছেন। এই পরিস্থিতিতে কর্মহীন অসহায় শিল্পীদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের দাঁড়াতে হবে।
শনিবার বেলা ১২টায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি এ্যালামনাই এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার আয়োজনে করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় কর্মহীন শিল্পী মনিরুল ইসলামকে খাদ্য সামগ্রি বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এ্যালামনাই এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সাতক্ষীরা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও খুলনা বেতারের সংগীত শিক্ষক আবু আফফান রোজ বাবু, সাধারণ সম্পাদক ও বর্নমালা একাডেমির পরিচালক সংগীত শিক্ষক শামীমা পারভীন রত্না প্রমুখ।
গত ৪ জুন ডেইলি সাতক্ষীরার ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আবু আফফান রোজ বাবু জানান, জনপ্রিয় স্টেজ পারফরমার শিল্পি মনিরুল ইসলাম দীর্ঘ ৩ মাস কোন প্রোগ্রাম না থাকায় খুবই কষ্টে রয়েছেন। যে কারণে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছেন। লাইভ অনুষ্ঠানেই ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সাতক্ষীরা (ডুয়াস) এর সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম শিল্পী মনিরুলের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তারই ধারাবাহিকতার শনিবার আজ চাল-ডাল-আলু-পিঁয়াজ-তেল-চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস মনিরুলের হাতে তুলে দেয়া হয়।