মাহফিজুল আক্কাস : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে যখন বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলা লকডাউন, মানবিকতা, সৌহাদ্য ও ভালবাসার বিপর্যয়ে পথ হারিয়ে অমানুবিকতা দেখা দিয়েছে। ঠিক সেই মুহুতে করোনার ভয়কে তুচ্ছ করে জীবনের মায়া ত্যাগ করে সকল বাঁধা উপেক্ষা করে সাতক্ষীরার আপামর জনগণের পাশে দাঁড়াতে জনগণের কল্যাণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঢাকা থেকে ছুটে এলেন সাতক্ষীরায়। করোনা থেকে সাতক্ষীরার মানুষদের রক্ষা করতে জনসচেতনতার জন্য সদরের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মাইকিং, সতর্কিকরণ লিফলেট, স্বাস্থ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দৃঢ় ভূমিকায় সাতক্ষীরায় করোনার সংক্রমণ রোধ করা অনেকটা সম্ভব হয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজের জীবন বাজী রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আবার ২০২০ সালে মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষের প্রতি ভালবাসা একং মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার আহবানে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে করোনার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও মহামারী করোনা থেকে মানুষকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ সাতক্ষীরাবাসীর প্রাণপ্রিয় জনদরদী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
দেশে করোনা ভাইরাস’র সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হলে মানুষ যখন হয়ে পড়ে কর্মহীন ও দিশাহীন। কালবিলম্ব না করে সাতক্ষীরার মানুষের প্রতি তার দায়িত্ববোধ থেকে সব বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে লকডাউনের মধ্যে সড়ক পথে ঢাকা থেকে সেদিন সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন এমপি রবি।
পতিমধ্যে মাওয়া ঘাটে ফেরি বন্ধ থাকায় স্প্রিড বোডে পদ্মা নদী পার হয়ে কয়েকটি জেলার লকডাউন চেক পোষ্ট পেরিয়ে অনেক পরিশ্রম ও ধকল সহে তিনি পৌঁছান সাতক্ষীরায়। ঢাকা থেকে আসার পথে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের তত্বাবধায়কের মাধ্যমে জানতে পারলেন যে মেডিকেল কলেজের যে কয়টি ভেন্টিলেশন মেশিন আছে সেগুলো চালু করতে হলে অক্সিজেনের প্রয়োজন। কিন্তু অক্সিজেনের কোন ব্যবস্থা মেডিকেল কলেজে নেই। তিনি জানার পর ঢাকাতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করেন এবং অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্টান ৫ দিনের মধ্যে মেডিকেল কলেজে অক্সিজের সরবরাহের যাবতীয় ব্যবস্থা করেন। ফলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজটি আইসিইউ ও ভেন্টিলেশনসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তুত। সকলে যখন সামাজিক দূরত্ব বজায় হিমশিম খাচ্ছে তখন এমপি রবি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাতা বিতরণ করেছেন। মানুষ ছাতা ব্যবহার করলে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষাসহ সেই সাথে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা যাবে। তার এ উদ্যোগ সাতক্ষীরা তথা দেশবাসী অনুকরণ করেছে।
এমপি রবি সাতক্ষীরায় আসার পর লক্ষ্য করেন যে, বাংলাদেশের অন্যতম স্থলবন্দরটি লকডাউনের জন্য বন্ধ থাকায় বন্দরের দুই থেকে আড়াই হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে। এমতবস্থায় তিনি জেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ করে ২০ টন চাউল বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। যাহা তিনি নিজে ও জেলা প্রশাসক ভোমরা বন্দরে গিয়ে বিলি বন্ঠন করেন। বেসরকারি, অবসরপ্রাপ্ত ও গ্রাম্যডাক্তারদের স্বাভাবিকভাবে চিকিৎসা দিতে উৎসাহ প্রদানের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তিনি পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোবসসহ স্বাস্থ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন। যাতে তারা উৎসাহী, উদ্যাগী ও নির্ভয়ে সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারেন। এছাড়াও বাস শ্রমিক, ট্রাক শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান চালকসহ ভিভিন্ন শ্রমিকদের মাঝে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় বিশেষ সহায়তা প্রদান করেন। সকল মানুষকে নিজ ঘরে থাকতে এবং সাতক্ষীরা জেলাকে করোনা মুক্ত রাখতে আজ অবধি অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি সহায়তা আসার আগেই এমপি রবি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান।
সাতক্ষীরার অসহায় মানুষদের সেবা দিতে অতিরিক্ত ত্রাণ বরাদ্দের জন্য বারবার মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে অতিরিক্ত বরাদ্ধ মন্জুর করেছেন। বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও মুজিবকন্যা মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আদর্শ্যের আদর্শিত ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপির প্রচেষ্টায় দলীয় নেতা কর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস’র বিস্তার ও সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এমপি রবি একজন সাদা মনের মানুষ, পরোপকারী, যিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননা। যিনি ভালবাসা ও উন্নয়ন দিয়ে সাতক্ষীরার সর্বস্তরের জনতার গর্ব ও অহংকার এবং আশার-আকাঙ্খার প্রদীপ। এমপি রবি এমনি একজন জনদরদী নেতা যার সব সময়ের ধ্যাণ-জ্ঞান এলাকার সামগ্রীক উন্নয়ন। সাতক্ষীরা প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা দূরীকরণে এমপি রবির ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় নদী ও খাল খননের জন্য একনেকে ৪৭৫ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। ফলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে এবং সাতক্ষীরার নদী ও খালে হবে জোয়ার-ভাটা। সাতক্ষীরায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যে উন্নয়ন হয়েছে সবই তার অবদান ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা।
সাতক্ষীরার উন্নয়ন কর্মকান্ডে তিনিই প্রশংসার দাবীদার। তিনি প্রত্যেহ সকালে ঘুম থেকে উঠে মহান আল্লাহ ও রাসূল কে স্মরন করে হাসি মুখে বেরিয়ে যান অসহায় মানুষের সেবা ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও দলীয় সাংগঠনিক কর্মকান্ডে। যে কারণে এমপি রবি বারবার জনগণের ভালবাসা নিয়ে বিপুল ভোটে সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে জয়লাভ করেন।
সাতক্ষীরাবাসী কপাল গুণে এমনি একজন জনদরদী নেতা পেয়ে ধন্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতার জন্য সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করবেন সাতক্ষীরাবাসীর এখন একটাই চাওয়া মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে।