আইভি রহমান প্রত্যেক আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকতেন। মিটিংয়ে কর্মীদের সঙ্গে মাঠে বসে থাকতেন, কোনো অহমিকা ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, এতো সুন্দর একটা মানুষের এরকম বীভৎস মৃত্যু যেটা সত্যি সহ্য করা যায় না।

সোমবার (২৪ আগস্ট) গণভবন থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। সকালে বনানী করবস্থানে আওয়ামী লীগ শহীদ আইভি রহমানের ১৬তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, শহীদ আইভি রহমান মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী। ছাত্রজীবন থেকেই ওনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা একসঙ্গে অনেক রাজনীতি করেছি। খুব আহত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিএমএইচে। এবং ২৪ আগস্ট তাকে মৃত ডিক্লেয়ার করে। আজকে তার মৃত্যুদিবস পালন করি।

প্রধানমন্ত্রী সভার শুরুতে আইভি রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যে ২২ জন নেতা-কর্মী মারা যায় তাদের কথা স্মরণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তার মধ্যে চারজন মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মারা যায়। আর দুইজন অজ্ঞাতনামা ছিল। তাদের মরদেহ কেউ নিতে আসেনি। ধারণা করা হয়, এই অজ্ঞাতনামারা হয়ত আক্রমণকারী হতে পারে, কিছু জানি না! কিন্তু আমরা তখন আমাদের ২২ জন নেতা-কর্মী হারিয়েছি। এবং তখন প্রায় ছয় সাতশ নেতা-কর্মী আহত হয়। অনেকে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে পরে আবার মারা গেছেন। কারণ শরীরের ভিতরে অনেক স্প্লিন্টার সেই অবস্থায় এখনো অনেকেই বেঁচে আছে।

যারা মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের কথা আমি স্মরণ করছি। বিশেষ করে আইভী রহমানের কথা। প্রত্যেক আন্দোলনে সংগ্রামে মাঠে থাকতেন ওনি, একদম মানুষের সঙ্গে এবং মিটিংয়ে আমাদের কর্মীদের সঙ্গে বসতেন। কোনো অহমিকা ছিল না। কিন্তু এতো সুন্দর একটা মানুষের এরকম বীভৎস মৃত্যু যেটা সত্যি সহ্য করা যায় না।

নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবার পরিজনের প্রতি সহমর্মিতা জানান তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন