সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা শাখার ক্লিন ইমেজধারী অফিসার ইনচার্জ মহিদুল ইসলামকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর তাঁর নিজ কার্যালয়ে সদ্য বদলীকৃত ডিবির ওসি কে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করেন।

বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার বিদায়ী অতিথির বিভিন্ন সফলতা তুলেধরে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন পাসাপাশি তার নতুন কর্মস্থলে আরো সফলতা কামনা করেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ এসময় সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন) মো:আসাদুজ্জামান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন, ডিএসবির সহকারী পুলিশ সুপার মো:সাইফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা থানার ওসি আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসংঙ্গত : গত বৎসর অথাৎ ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করেন এই ক্লিন ইমেজধারী ওসি মহিদুল ইসলাম। দীর্ঘ ১১ মাস সাতক্ষীরা জেলার ডিবির ওসি হিসাবে মহিদুল ইসলাম খুব সুনাম ও দক্ষতার সহিত পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন।

এই ১১ মাসে সাতক্ষীরার ইতিহাসে রেকর্ড ব্রেক পরিমান মাদক উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী আটক,রেকর্ড ব্রেক পরিমান অস্ত্র উদ্ধার, কালিগঞ্জে বিকাশের ২২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার রহস্যের উন্মোচন সহ নাশকতা মামলার একাধিক পলাতক আসামী আটক করে তিনি জেলা পুলিশের ক্রাইম কনফারেন্সে একাধিক বার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসাবে সন্মাননা ক্রেস্ট অর্জন করেছেন।

এছাড়া আগরদাড়ি আ’লীগ নেতা নজরুল ইসলাম কে প্রকাশ্যে গুলিকরে হত্যা কারীকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় এনেছিলেন ডিবির ওসি মহিদুল ইসলাম। এছাড়া পাটকেলঘাটার আলোচিত শিশু শাহীনের মাথায় আঘাত করে ভ্যান ছিনতাই কারীকে কয়েক শ দোকানের সিটি টিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘাতক কে যশোর থেকে আটক করেছিলেন ডিবির ওসি মহিদুল ইসলাম। 

এছাড়া দেশের ক্রান্তিকালে লবন গুজব ঠেকাতে ডিবির ওসি মহিদুল ইসলাম জেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত লবন গুজোব ঠেকাতে কাজ করেছিলেন।

পাসাপাশি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) এঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক করোনায় লক ডাউনে কম আয়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন এবং মানুষকে ঘরে ফেরাতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করেছেন।

ডিবির সেকেন্ড অফিসার হাফিজ বলেন, তিনি শুধু ওসি হিসাবে নয় অধিনস্থ সহকর্মী দের কে তিনি নিজের ছোট ভাইয়ের মত স্নেহ করতেন আবার মাঝে মাঝে শাসন ও করতেন। ডিবির এসআই ফরিদ হোসেন জানান,আমরা এমন একজন অবিভাবক কে হারালাম যিনি আমাদের কে বটবৃক্ষের মত ছায়া দিয়ে আগলে রাখতেন। ডিবির এসআই মুনিরুল জানান, জটিল মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা কোন ধারা হবে সেটা বুঝতে না পারলে ওসি স্যার আমাদের ডেকে তার টেবিলের সামনে বসে আমাদের কে সেসব বিষয় সমাধান করে দিতেন। ডিবির এসআই মোস্তফা জানান আমাদের অনেক সময় পারিবারিক সমস্যা দেখা দেয় যেমন – স্ত্রীর অসুখ, পুত্রের অসুখ বা পিতা-মাতা অসুস্থ্য এসব বিষয় জানালে ওসি স্যার মানবিক কারনে আমাদের কে ছুটি (সুযোগ-সুবিধা) দিতেন।ডিবির এসআই মহাসিন হাওলাদার বলেন, এমন মানবিক ও অবিভাবক তুল্য ওসির আন্ডারে বছরের পর বছর ধরে শান্তিতে চাকুরী করা যায়। 

পরিশেষে বলা যায় ডিবির সদ্য বিদায়ী ও ক্লিন ইমেজধারী ওসি মহিদুল ইসলাম একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। আপডেট সাতক্ষীরা ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে সদ্য বিদায়ী ওসি মহিদুল ইসলামের সফলতা কামনা করা হয়েছে। 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন