নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার হিসাবে সফলতার প্রায় এক বৎসর পূর্ণ হলো জেলা  পুলিশের অবিভাবক এসপি মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম-বার এঁর।সদালাপী ও হাস্যজ্জল মানুষটি তাঁর কর্মদক্ষতা দিয়ে খুব অল্প সময়ে নারায়নগঞ্জ জেলাবাসীর মন কেড়েছেন।

গত বৎসর ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ পুলিশ সুপার হিসাবে এ জেলায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে এখনো পর্যন্ত তিনি তার কর্মগুণে মহিয়ান হয়ে আছেন বলে মনে করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করার যে পদক্ষেপ সম্প্রতি তিনি হাতে নিয়েছেন তা সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে।

জানা যায়, এসপি হারুন ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মানুষের কাছে অন্যতম সেরা এসপি। অপরাধীদের ক্রমান্বয়ে গ্রেফতার ও যে কোনো ইস্যুতে পারফেক্ট ফিনিশিং এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে হকার থেকে শুরু করে যে কোনো কর্মকান্ডে তার অতুলনীয় ভুমিকার কারণে জনসাধারণ তাকে সিংহাম সহ নানা উপাধি দিতে থাকেন। তার বিদায়ের পর প্রায় দেড় মাস কোনো এসপি না থাকায়, আবারো অপরাধীদের উৎপাত বাড়তে পারে এমন শঙ্কায় আতংকিত হয়ে পড়ে নারায়ণগঞ্জের মানুষ এমনটাই দাবী বিশ্লেষক মহলের।

তবে, নারায়ণগঞ্জবাসীর সেই ভয় ও শঙ্কাকে দুর করতে নারায়ণগঞ্জে এসে যোগদান করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ ক্যাডারের ২২তম বিসিএস মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।

তিনি যোগদানের পর প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা ও পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। এছাড়া তিনি আরো বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ীক, সামাজিক সংগঠনের সাথেও আলোচনা সভা করেন।তিনি তাঁর অফিসে যাওয়ার সকল স্থরের মানুষদের  সুযোগ দেন। একজন ভ্যান চালক ও তার সমস্যা নিয়ে পুলিশ সুপারের নিকট খুব সহজেই যেতে পারেন। তিনি একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। শীতের সময় তিনি গত বৎসর নারায়নগজ্ঞের হতদারিদ্র মানুষদের মাঝে পুনাকের মাধ্যমে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছিলেন।এছাড়া পত্রপত্রিকায় কোনো সমস্যা গ্রস্থ ব্যক্তির সাহায্যের আবেদন দেখলে পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট থানার ওসির মাধ্যমে ঐ বিপদ গ্রস্ত মানুষকে সহযোগীতা করেন।এমন ঘটনা প্রায় প্রায় পাঠকরা বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে দেখতে পান।

নারায়ণগঞ্জবাসীর মতে, এরপর থেকেই শুরু হতে থাকে এসপি জায়েদুলের ক্যারিশম্যাটিক কার্যক্রমের। তিনি যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন থানা থেকে বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের অন্যত্র বদলী ও পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করতে থাকেন। যদিও পুলিশ প্রশাসনের দাবী, কোনো বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য নয় বরং পুলিশে চাকরীর অংশ হিসাবেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যকে বদলী করা হয়।

নারায়নগজ্ঞের টিআই তাসলিম উদ্দিন জানান,আমাদের আলফা ওয়ান মোহাম্সদ জায়েদুল আলম স্যার একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি জানান, করোনা কালে তিনি করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য যা করেছেন তা আমরা আজীবন স্মরণ রাখবো। তিনি আরো জানান,করোনার সময়  করোনা জয়ী পুলিশ সদস্যের রক্ত নিয়ে নারায়নগঞ্জে সর্ব প্রথম প্লাজমা ব্যাংক খোলা হয়েছিলো তা পুলিশ সুপার মহোদয়ের যোগ্য নেতৃত্বে।টিআই তাসলিম উদ্দিন আরো জানান,করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের বাড়ি এসপি স্যার পুষ্টিকর খাবার সামগ্রী পাঠিয়ে দিতেন।

সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়,মিডিয়া বান্ধব এসপি জায়েদুল আলমের যোগদানের পর তার বিভিন্ন সফলতার কারণে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি আগের চেয়ে বহুগুন বেড়েছে।

সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জের অন্যতম প্রধান “হকার ও ফুটপাত দখল” সমস্যা সমাধানে পুলিশ সুপারের বিভিন্ন উদ্যোগ সর্বমহলে বেশ প্রশংসিত হচ্ছে বলেও জানা যায়। এ হকার সমস্যা সমাধানে এসপি জায়েদুল আলমের নির্দেশে ইতিমধ্যে নগরীর প্রধান প্রধান ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদে প্রায় সময়ই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে সদর থানা ও ডিবি পুলিশ। সর্বশেষ চাষাড়া শহীদ মিনারের আশেপাশের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে তিন দিন আগেই থানা ও ডিবি পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সড়কে প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালায় থানা পুলিশ।

এতে নগরবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে দাবী করে নগরীর একজন বাসিন্দা প্রাইম নারায়ণগঞ্জকে ফোন করে জানান, আগে নগরীর ২নং রেল গেট থেকে চাষাড়া আসতে সময় লাগতো ২০-২৫ মিনিট।

কিন্তু বর্তমান পুলিশ সুপারের কারণে নগরীর ফুটপাত দখল মুক্ত করা সম্ভব হওয়ায় এবং যানজট সমস্যার সমাধান হওয়ায় মাত্র ৪ থেকে ৫মিনিটেই চাষাড়া আসা যায়।

তাই পরিশেষে বলা যায়, নারায়নগজ্ঞের মত কিটিক্যাল জেলায় সকলের সাথে সমন্বয় করে চলে অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন এসপি জায়েদুল আলম পিপিএম-বার।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন