নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে অবরুদ্ধ মামুনুল হককে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ওই রিসোর্টে মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করা হয়। এর পর পুলিশ তাকে জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার বেশকিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ-প্রশাসন উপস্থিত আছে। তারা ঘটনাটি যাচাই করে দেখছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ অবস্থান করছেন এমন খবরে স্থানীয় লোকজন রিসোর্ট ঘেরাও করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। মামুনুল হক পুলিশকে জানিয়েছেন, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে কক্ষের ভেতরেই জ্ঞিাসাবাদ করে।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, মামুনুল হক সকালে রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষটিতে ওঠেন। দুপুর থেকেই এলাকায় চাউর হয় মামুনুল হক এক নারীসহ রিসোর্টে অবস্থান করছেন। এ খবরে এলাকার লোকজন রিসোর্টটি ঘেরাও করে।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদ রহমান বলেন, আমরা মামুনুল হকের সঙ্গে কথা বলছি। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পর রয়েল রিসোর্টে হামলা চালান হেফাজতের নেতাকর্মীরা। স্থানীয়রা জানান, এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রয়েল রিসোর্টে হামলা চালান তারা। এ সময় রিসোর্টের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন হেফাজতের কর্মীরা। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, মামুনুল হককে রিসোর্ট থেকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে হেফাজতের কর্মীরা হামলা চালান। এতে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা রিসোর্টের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছেন। মামুনুল হক পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামুনুল হককে থানায় নেওয়ার পথে রিসোর্টে হামলা চালান হেফাজতের কর্মীরা। পরে মামুনুল হককে নিরাপদে স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। তিনি আমাদের হেফাজতে রয়েছেন।