সাতক্ষীরায় করোনা রোধে সার্বিক কার্যাবলি চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল স্মাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে আজ ৪ জুন রাত ১২টা ১ মিনিট হতে আগামী ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত নিম্নরূপ বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বিধি-নিষেধ অনুযায়ী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্য পরিবহন, জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না বলে জানানো হয়।

জেলা প্রশাসকের দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো গণবিজ্ঞিপ্তিতে আরও বলা হয়-
১. ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ থাকবে। সাপ্তাহিক হাট ও গরুর হাট বন্ধ থাকবে।
২. কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় (মুদিখানা) পণ্যের দোকানপাট, খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে কেবল খাদ্য বিক্রয়, সরবরাহ করা যাবে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ এসব স্থানে যেতে ও জনসমাগম করতে পারবে না।
৩. আমের আড়ৎ বাজার পৃথক জায়গায় ছড়িয়ে আড়তদারদের মাধ্যমে বিক্রয় করা যাবে। বাগান থেকে আম ট্রাকে করে পাঠানো যাবে। এছাড়া কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পরিবহন চালু থাকবে। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
৪. জরুরি প্রয়োজনে চলাচলকারী সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে।
৫. শিল্প-কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
৬. আইন-শৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টীকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, স্থলবন্দরসমূহের কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি, বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারি ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।
৭. অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে।
. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সমসংখ্যক ব্যক্তি উপাসনা করতে পারবেন।
৯. ভোমরা স্থল বন্দরের সব দোকান বন্ধ থাকবে। তবে স্থল বন্দরের কার্যক্রম সকাল ৮টা হতে বেলা ২টা পর্যন্ত চালু থাকবে।
১০. শুধুমাত্র সকল জরুরি সরকারি নির্মাণ কাজ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলমান থাকবে এবং এ সংক্রান্ত পণ্য পরিবহন বিধি নিষেধের আওতা বহির্ভূত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন