পরিবারে স্বচ্ছলতা না থাকলেও কষ্টসৃষ্টে পড়াশোনা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করেন রঞ্জন রায়। ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উৎরে আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার চৌকাঠ। তবে বিপত্তি বাধে দেশের এই প্রধান শিক্ষায়তনে ভর্তির ফি নিয়ে। কারণ, ভর্তির প্রয়োজনীয় অর্থ তার পরিবার যোগাতে পারেনি।
নীলফামারীর ছেলে রঞ্জনের এই দুর্দশার কথা উঠে আসে গণমাধ্যমে। সেই খবর দেখে রঞ্জনের পাশে দাঁড়ান পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য রঞ্জনকে দেন ২০ হাজার টাকা সহায়তা।
বৃহস্পতিবার জীশান মীর্জার পক্ষে নীলফামারী জেলা পুনাক সভানেত্রী তাসমিয়া জান্নাত আজ সকালে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রঞ্জন ও তার পিতা-মাতার হাতে এ অর্থ তুলে দেন।
রঞ্জনের বাড়ি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরাজগঞ্জ গ্রামে। তার বাবা রমেশ চন্দ্র রায় পেশায় দিনমজুর। মা নমিতা রাণী রায় গৃহিণী। পরিবারের সম্বল শুধু বসতভিটা। ছোট ভাই চন্দন রায় ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
অভাব-অনটনের মধ্যেও নিজের মেধা ও পরিশ্রমে রঞ্জন স্থান করে নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে রঞ্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটে সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য ১৮ হাজার টাকা প্রয়োজন। তার দরিদ্র পিতার পক্ষে এ অর্থ সংগ্রহ করা কোনভাবেই সম্ভব হয়নি।
ছেলের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা পেয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি রঞ্জন ও তার পিতা-মাতা। তারা গভীর কৃতজ্ঞতা জানান জীশান মীর্জার প্রতি।