গ্রেফতারকৃত ডাকাত শরিফুল হাসান বান্না @ বাবু দারোগা রিমান্ড চলাকালীন গোপন বাসার সন্ধান দেয়। তার গোপন বাসায় অভিযান চালিয়ে নিচে উল্লেখিত জিনিস সমূহ পাওয়া যায়…..
পুলিশ আইডি কার্ড, হ্যান্ডকাপ, পুলিশ আইডি কার্ড ঝুলানো কক্সবাজার সি বিচে তোলা বাঁধানো ছবি, পিস্তল (খেলনা), পিস্তল কভার, পুলিশ লোগো লাগানো ফেস মাস্ক, খুলনা এলাকা থেকে ছিনতাই করে আনা সন্দেহজনক সিএনজি ইত্যাদি।
প্রাসংঙ্গত: সাতক্ষীরায় পুলিশের পোশাক পরিধান করে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির অভিযোগে দলনেতা শরীফ হাসানুল বান্নাসহ ৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডাকাতি মামলায় তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার ভোররাতে শরীফ বান্নাকে সদর উপজেলার মাগুরা বৌ-বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় পুলিশের পোশাক, বিদেশি পিস্তল, গুলি, হ্যান্ডক্যাপসহ ডাকাতি করার অন্যন্য সামগ্রী। এর আগে অপর ৫ ডাকাতকে শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করতো।
সোমবার দুপুরে সাতÿীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলার নারানজোল এলাকার শরীফ হাসানুল বান্না ওরফে সুমন,কাশেমপুর গ্রামের সাব্বির হোসেন, পাথরঘাটা গ্রামের হাফিজুর রহমান, গোবিন্দকাটি গ্রামের জাহিদ হোসেন ও আকরামুল মোড়ল ও কালিগঞ্জ থানার সোনাতলা এলাকার রাশিদুল ইসলাম।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম-বার জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার মধুমোল্লা র ডাঙ্গি এলাকার গরু ব্যবসায়ী শেখ আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলে রিফাত হোসেন গরু বিক্রির ২লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের ওয়ারিয়া পূজা মন্ডপের সামনে আসলে তাদেরকে গতিরোধ করে পুলিশ পরিচয়ে একদল ডাকাত। মাদকদ্রব্য থাকার মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদেরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে টাকা কেড়ে নেয় ডাকাতরা।
ঝাউডাঙ্গা বাজার পার হয়ে বাবা শেখ আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলে রিফাত হোসেনকে মাইক্রোবাস থেকে তাদেরকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকালে তাদের চিৎকারে স্থানীয়দের সহায়তায় ৫ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ। তবে পালিয়ে যায় দলনেতা শরীফ হাসানুল বান্না। এঘটনায় ভুক্তভোগী শেখ আনোয়ারুল ইসলাম বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। যার নং-৫০। এদিকে দলনেতা শরীফ হাসানুল বান্নাকে সোমবার ভোরে সদর উপজেলার মাগুরা বৌ-বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাকাতদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় পুলিশের পোশাক, পরিচয়পত্র, বিদেশি পি¯Íল, গুলি, হ্যান্ডক্যাপ, দুটি মোটর সাইকেলসহ ডাকাতি করার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রী। গ্রেপ্তারকৃতরা আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি আরও বলেন, এই চক্রের এক সদস্য শহরের একটি ক্লিনিক থেকে পুলিশ পরিচয়ে ভর্তি রোগীর টাকা না দিয়ে জোর করে নিয়ে চলে যায়। হাসপতালের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এই ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামান, সদর থানা অফিসার ইনচার্জ স.ম কাইয়ুম, কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ কামাল মৃধা, গেয়েন্দা শাখা (ডিবি) ইনচার্জ বাবুল আক্তার,ডিবির ইন্সপেক্টর তরিকুল, সাতক্ষীরা থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন তারিক বিন আজিজ,সেকেন্ড অফিসার লোকমান হোসেন সহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির অভিযোগে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।