বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তানু ভুইয়া হত্যাকাণ্ডে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১২ নভেম্বর) রাতে পিরোজপুর থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে বাগেরহাট জেলা পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করে করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা বাগেরহাটে শহরের বাসাবাটি এলাকার টুটুল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (২৮), জামাল মিস্ত্রীর ছেলে মনির (২৬), আলী আকবরের ছেলে রাতুল শেখ (২৭), সোবহানের ছেলে সিরাজুল (২৭), এসমাইল শেখের ছেলে আলামিন (৩০), রুস্তমের ছেলে সুমন (২৬), বাসাবাটি কাড়াপাড়ার সোহাগ (২৫), পূর্ব বাসাবাটির মোসলেম শেখের ছেলে মুকুল শেখ (৫৩) ও বাসাবাটি মৃত সোবহান শেখের ছেলে কবির শেখ (৫০)।

স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক কারবারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন গ্রেফতাররা।

রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী থানার বালিপাড়া গ্রামে আসামি ফরিদ শেখের ফুফু বাড়ি থেকে তাদের বাগেরহাট জেলা পুলিশ গ্রেফতার করে। আসামিদের আদালতে তুলে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। এছাড়া এজাহারনামীয় অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এর আগে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি পদ্মপুকুরের মোড় এলাকায় খুন হন নুরে আলম তানু ভুইয়া। তিনি বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় সাত-আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন