স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট জাতি গঠন করতে হবে। এজন্য স্মার্ট শিক্ষক, স্মার্ট শিক্ষার্থী ও স্মার্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জরুরী। স্মার্ট সমাজ বিনির্মাণে স্মার্ট লাইব্রেরি জ্বালবে জ্ঞানের আলো। এজন্য তরুণ সমাজকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করতে হবে। শিক্ষকরাই স্মার্ট জাতি গঠনের সৈনিক।
শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই নির্মিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। পজেটিভ বাংলাদেশ গড়তে, যুব সমাজকে ধ্বংসের পথ থেকে রুখতে হলে, কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ করতে হলে আমাদেরকে তাদের হাতে, তাদের মন ও বয়সের উপযোগী সুন্দর সুন্দর বই তুলে দিতে হবে। বক্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের সৈনিক হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) অন্তর্ভুক্ত স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিম-এর আওতায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব কুমার বসু, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাশ। বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষক সমিতির নেতা আব্দুল জব্বার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: মমিনুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: মমিনউদ্দীনসহ অন্যরা।
উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের মাধ্যমে ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র কর্মপরিকল্পনা, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন টিম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ কুরাইশী।
বক্তারা আরও বলেন, উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার অন্যতম উদ্দেশ্য মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তাদের মন এবং বয়স উপযোগী বই পড়ায় আগ্রহী করে তোলা। পাঠাভ্যাসের প্রসার ও সুযোগ বৃদ্ধি করা। কর্মসূচি পরিচালনার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন, বই পড়া শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে পুরস্কার প্রদান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি টেকসই ও কার্যকর করার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র এবং শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। বইপড়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আজকের এই কর্মশালা।
বক্তারা বলেন, সিলেবাস বহিভূত বই পড়ার মাধ্যমে পুথিগত বিদ্যা থেকে বের হওয়া যায়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের বই পড়তে হবে। বইগুলো সেকায়েপের বইয়ের সাথে যুক্ত করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে, ছাত্রদের বই পড়ানোর ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সংগঠকদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান যেমন হন তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও তেমন হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের শিক্ষিত জাতি দরকার। আর শিক্ষিত জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকরা। কর্মশালায় ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন