রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম বেশি নিলে কঠোর ব্যবস্থা : এডিশনাল এসপি মীর আসাদুজ্জামান

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 244 দর্শন

 

শেখ আরিফুল ইসলাম আশা:  শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। সিয়াম-সাধনার এই মাসে অসাধু ব্যবসায়ীদের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধে ও সাধারণ ক্রেতাদের সুবিধার্থে সাতক্ষীরা বড় বাজার মনিটরিং করেছে পুলিশ। রমজান মাসে কোনো দোকানদার ক্রেতার কাছে সরকার নির্ধারিত বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি নিলে এবং তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামান।


শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকালে জেলা পুলিশের পক্ষে বাজার মনিটরিংএ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামানের নের্তৃত্বে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান ও ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ নজরুল ইসলাম সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানগুলোতে ঘুরে ঘুরে মনিটরিং করেন।
এসময় প্রতিটা মুদি দোকান, শাক-সবজি, মাছ-মাংস, বিভিন্ন জাতের মুরগির দোকান মনিটরিং সহ সঠিক ওজন দেয়া, মেয়াদ উত্তির্ন দ্রব্য বিক্রি না করা এবং দ্রব্যের দৈনিক মূল্য তালিকা রাখার পাশাপাশি কেহ যেন দ্রব্য মূল্য নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেবিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামান বলেন, আজ পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন। রমজান মাস উপলক্ষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধে আজ “সাতক্ষীরা বড়বাজার” এর দোকানগুলোতে ঘুরে ঘুরে মনিটরিং সহ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও তরমুজ ব্যাবসায়ীদের তরমুজ কেজিতে নয় পিচ হিসেবে বিক্রি করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাজার ঘুরে দেখতে পাই সরকার নির্ধারিত বাজার মূল্যের চেয়ে কিছু কিছু পণ্যের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। আমরা সরকার নির্ধারিত বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি নিলে এবং তা প্রমাণিত হলে তার তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যান্য দেশে রমজান বা অন্য কোনো উৎসব এলে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জন্য ছাড় দেয়। আর আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করেন। এটা খুবই লজ্জাজনক।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন