পুলিশ সুপারের সহায়তায় সমাপ্তি ফিরে পেল তার সুখের সংসার ও শিশু বেলাল ফিরে পেল পিতৃস্নেহ। থানা পুলিশ জানায়,চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন সরিষাডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে সমাপ্তির সাথে একই থানাধীন হাজরাহাটি গ্রামের হায়বাত মালিথার ছেলে রাব্বি মালিথার সাথে গত ০৫(পাঁচ) বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের বেলাল(০৩) নামে একটি শিশু পুত্র আছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ হয়। একপর্যায়ে সমাপ্তিকে তার বৃদ্ধ পিতার বাড়িতে শিশু বেলালসহ তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
অসহায় সমাপ্তি স্বামী ও সুখের সংসার ফিরে পাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার উক্ত অভিযোগটি ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’ এর মাধ্যমে গতকাল ০৩.০৯.২০২৩ খ্রিঃ উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন।
উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে কর্মরত এএসআই(নিঃ) মিতা রানী সঙ্গীয় নারী পুলিশ সদস্যসহ তাদের সমঝোতায় আনতে সক্ষম হয়। সমাপ্তি ও রাব্বি সব বিবাদ ভুলে সুখে-শান্তিতে সংসার করতে সম্মত হয়। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার সহযোগিতায় সমাপ্তি ফিরে পায় তার সুখের সংসার ও শিশু বেলাল ফিরে পেল পিতৃস্নেহ।পুলিশ সুপারের এমন মহৎ উদ্যোগ প্রশাংসায় ভাসছে পুরো সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।