ইতিহাস গড়া জার্সিটি করোনা আক্রান্তদের জন্য নিলামে তুলবেন তিনি

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 199 দর্শন

 

দুই হাজার তের  সালে কাঠমান্ডুতে সাফ ফুটবলের ফাইনাল পরিচালনা করেন রেফারি তৈয়ব হাসান (বল হাতে)। এই জার্সিটিই তিনি নিলামে তুলছেন। ছবি: সংগৃহীতকরোনা আক্রান্তদের সহায়তায় নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট নিলামে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। এবার তাঁর পথে হাঁটছেন বাংলাদেশের সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান।


২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম রেফারি হিসেবে সাফের ফাইনাল পরিচালনা করেন। সে ম্যাচে ভারতকে ২-০ গোলে হারিয়ে আফগানিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়। এই ম্যাচে যে জার্সিটি পরেন খেলা পরিচালনা করেন তৈয়ব হাসান,করোনা আক্রান্তদের সাহার্যার্থে সেটিই নিলামে তোলার ইচ্ছা তাঁর।

সাতক্ষীরার বাড়ি থেকে আজ ফোনে তৈয়ব প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি হয়তো কোনো ক্রীড়াবিদ নই। নামী দামিও কেউ নই। কিন্তু তারপর ভেবেছি এই সময়ে মানুষের জন্য কিছু করা উচিত। আমার সামান্য আর্থিক অনুদানে যদি একটি মানুষও উপকৃত হয় সেটিই হবে আমার স্বার্থকতা। তাই সাফ ফাইনালের জার্সিটি নিলামে তুলব। সেটা থেকে প্রাপ্ত অর্থ করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের দেব।’

তৈয়ব তাঁর সাতক্ষীরার বাড়িতে করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছ থেকে বাসা ভাড়াও নিচ্ছেন না এপ্রিল থেকে। টিন শেডের বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন তৈয়ব।

বাংলাদেশে কোনো রেফারি হিসেবে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করার রেকর্ড্ও তারই। টানা ১০ বছর এএফসির এলিট প্যানেলে ছিলেন। এটিও রেকর্ড। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় ঢুকেছেন তিনি।

প্রাসংঙ্গত, এই কিংবদন্তী রেফারি ১৯৭০ সালের ৯ জানুয়ারি সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফিফা রেফারিং হিসাবে প্রথম ম্যাচ পরিচালনা শুরু করেছিলেন ১৯৯৯ সাল থেকে। এর কিছুদিন পরই ফিফার এলিট প্যানেলে যুক্ত হয়ে ফিফা আয়োজিত বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়িং, অলিম্পিক কোয়ালিফায়িং, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, বিভিন্ন রাউন্ড টুর্নামেন্ট সহ শতাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনায় তিনি কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, হংকং, তাইয়ান, চীন, মঙ্গোলিয়া, ইরান, ইরাক, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাউস, জর্ডান, ওমান, উজবেকিস্তান, কাজাকিস্তান, তাজাকিস্থানসহ এশিয়ার প্রায় সব দেশে ফিফা, এএফসি এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। সে হিসেবে তার গুণমুগ্ধ ভক্তদের সংখ্যা অগণিত।
রেফারিংয়ে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য তিনিই একমাত্র বাংলাদেশী হিসাবে প্রথম এশিয়ান ফুটবল কনফিডারেশন (এএফসি), বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), সাতক্ষীরা জেলা জন সমিতি-ঢাকা, সোনালী অতীত ক্লাব-ঢাকা, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোটস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সেরা রেফারিং এ সম্মাননা পেয়েছেন। এবং এশিয়ান ফুটবল কনফিডারেশন (এএফসি) এর তৎকালীন প্রেসিডেন্টও তাঁকে সম্মাননা প্রদান করেছিলেন।

সফরকালে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। টানা ১৮ বৎসর যাবৎ তিনি ফিফা রেফারিং হিসাবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক রেফারী অ্যাওয়ার্ড অর্জন পূর্বক শতাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
–প্রেস বিজ্ঞপ্তি। 





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন