ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রাম এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
এ উপলক্ষে গতকাল ১০ জুন, ২০২১ খ্রিঃ বিজেএমইএ এর সম্মেলন কক্ষে শিল্প-কারখানার মালিক, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সূধীজনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকার ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিল্প-এলাকার কর্ম-পরিবেশ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি এবং সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রাম এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোলাইমান, পিপিএম।
এছাড়াও সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন , সিএমপি’র অতিঃ পুলিশ কমিশনার , জেলা পুলিশ, চট্টগ্রাম এর পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ এর পক্ষ থেকে অতিঃ আইজিপি শফিকুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
উক্ত সভায় উপস্থিত সকলে চট্টগ্রাম শিল্পাঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, শ্রমিক-মালিকের সুদৃঢ় মেলবন্ধন সৃষ্টিতে এবং নিরাপদ কর্ম-পরিবেশসহ দেশী-বিদেশেী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-এর বিভিন্ন গৃহীত পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের ভূয়সী প্রংশসা করার পাশাপাশি শিল্পাঞ্চল পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করা, বাংলাদেশে শিল্পঘন এলাকায় নতুন ইউনিট স্থাপন করাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
অতিরিক্ত আইজিপি মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি নিরসন করতে শিল্প পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশনা প্রদান করেন। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো সঠিকভাবে মালিক এবং শ্রমিকদের নিয়ে কাউন্সিলিং করলে শিল্পক্ষেত্রে শ্রমিক অসন্তোষ অনেকাংশে কমে যাবে।
তিনি আরো বলেন, শিল্প পুলিশ জনগণ তথা মালিক ও শ্রমিকদের সেবা করার একটি বড় প্লাটফর্ম৷ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের প্রতিটি সদস্য শিল্পের কলকারখানার উৎপাদনের পরিবেশ সচল রাখার জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেই মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। পরিশেষে, তিনি যে কোন প্রকার ধংসাত্মক ও হিংসাত্মক কার্যক্রম প্রতিরোধের স্বার্থে শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে বিশ্বস্ততা ও আস্থা অর্জনসহ একটি শিল্পোন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, সিইপিজেড, কেইপিজেড ও কোরিয়ান ইপিজেড এর মহাব্যবস্থাপকগণ; বিজেএমইএ, বিকেএমইএ, বিএসবিআর ও চেম্বার অব কর্মাস, চট্টগ্রাম এর নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীগণ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রাম এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রমিক সংঘঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রিন্ট-মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।