যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রবিবার খুলনা নৌ অঞ্চলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে সকালে খুলনা নেভাল এরিয়া কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এনজিপি, পিসিজিএম, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাৎ বরণকারী শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও শহিদ বীর বিক্রম মহিবুল¬াহর সমাধীস্থলে গার্ড অব অনার এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় খুলনা নৌ অঞ্চলের পদস্থ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি পালন উপলক্ষে খুলনা নৌ অঞ্চলের মসজিদসমূহে বাদ ফজর দেশ ও জাতির কল্যাণ, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাৎ বরণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে নৌ অঞ্চলের সকল ঘাঁটি ও জাহাজসমূহে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের ওপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বিএন স্কুল এন্ড কলেজ খুলনা ও মোংলা, নেভি এ্যাংকরেজ খুলনা এবং শিশু নিকেতন স্কুল মোংলায় দিবসটি উপলক্ষে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়া বরিশাল বিআইডব্লি¬উটিএ ঘাটে ‘বানৌজা বরকত’, রকেট ঘাট খুলনায় ‘বানৌজা কর্ণফুলী’ ও ‘বানৌজা যমুনা’ মোংলায় দিগরাজ নেভাল জেটিতে বিকেল ২টা হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়। এ সময় নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ পরিদর্শনের জন্য উলেখযোগ্য সংখ্যক জনসমাগম হয়। বিকেলে বানৌজা তিতুমীর ঘাঁটিতে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার সশস্ত্র বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, সশস্ত্রবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারবর্গের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংসদ গণ, সদস্য,কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়া, রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন, এনজিপি, পিসিজিএম, এনডিসি, এএফডবিউসি, পিএসসি,কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা সহ গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও খুলনার উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।