জলবায়ু সম্মেলনে ৫ শীর্ষ প্রভাবশালী তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দ্বারা zime
০ মন্তব্য 278 দর্শন

 

জাতিসংঘের আয়োজনে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলছে জলবায়ুবিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলন কপ–২৬। এতে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ শতাধিক দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, মন্ত্রী, সাংসদ, বিজ্ঞানী, পরিবেশবাদীসহ সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন খাতের ৩০ হাজারের বেশি প্রতিনিধি। সম্মেলনস্থলের বাইরে চলছে পরিবেশবাদীদের বিক্ষোভ–প্রতিবাদ। এতে অংশ নিয়েছেন সুইডেনের তরুণ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।

সবার চাওয়া একটাই, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার স্বার্থে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিক দেশগুলো। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও কার্বন নিঃসরণের হার সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিশ্বনেতারা ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতি দিক। তবে সংবাদমাধ্যমের নজর হয়তো বাইডেন কিংবা থুনবার্গের ওপর বেশি রয়েছে। কিন্তু আড়ালে বসে জলবায়ু আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছেন আরও অনেকেই। প্রভাব রাখছেন আলোচ্যসূচিতে।

চলমান কপ–২৬ জলবায়ু আলোচনা এগিয়ে নিতে প্রভাব রাখছেন এমন পাঁচ প্রভাবশালী আলোচকের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এ তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা ছাড়া বাকি চারজন হলেন—চীনের জলবায়ু আলোচক শি জেনহুয়া, সৌদি আরবের আয়মান সাসলি, ব্রিটিশমন্ত্রী অলোক শর্মা, স্পেনের বাস্তুসংস্থান পরিবর্তনমন্ত্রী তেরেসা রিবেরা।

বিবিসি বলছে, জলবায়ু সম্মেলনের সফলতা কিংবা ব্যর্থতা এই পাঁচ আলোচকের ওপর নির্ভর করছে। কারণ এক্ষেত্রে তাদের বড় প্রভাব রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘বিপন্নদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে থাকা ৪৮টি দেশের গ্রুপ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের পক্ষে কথা বলেছেন তিনি।

খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনা একজন অভিজ্ঞ ও স্পষ্টভাষী রাজনীতিবিদ; যিনি জলবায়ু পরিবর্তনের তরতাজা অভিজ্ঞতা কপ২৬ সম্মেলনে তুলে ধরবেন। গত বছর বাংলাদেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়। সেই সময় দেশটিতে বন্যায় ১০ লাখ বাড়ি-ঘর হুমকির মুখে পড়ে।

কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. জেন অ্যালান বলেন, শেখ হাসিনার মতো লোকজন জলবায়ু পরিবর্তনের এক মানবিক মুখ। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ইতিমধ্যে কী অবস্থায় চলে গেছে, তা বুঝতে তিনি বিশ্ব নেতাদের সাহায্য করতে পারেন।

বিবিসি বলছে, বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে থাকা সত্ত্বেও জলবায়ুর ঝুঁকি ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর গ্রুপের আলোচনায় তাদের শক্তিশালী অবস্থানের রেকর্ড রয়েছে।

ড. অ্যালান বলেন, কথা বলার ক্ষেত্রে এসব দেশ তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার চেয়েও বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে। কারণ তাদের শক্তিশালী এক নৈতিক কণ্ঠস্বর আছে। তাদের সিদ্ধান্তগুলোও ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠনগুলোর মাধ্যমে অগ্রসর সিদ্ধান্ত নিতে ভালো সমঝোতায় পৌঁছানোরও সক্ষমতা রয়েছে তাদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্লাসগো বহরের সদস্য ও বাংলাদেশি আলোচক কামরুল চৌধুরীর মতে, একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য নিয়েই বিপন্ন দেশগুলো গ্লাসগোতে এসেছে। এসব দেশের ১০০ কোটি মানুষ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে।

তিনি বলেন, ধনী দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে বাধ্য করার মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষকে আমরা ঝুঁকিমুক্ত করতে চাই।





০ মন্তব্য

আরও পোস্ট পড়ুন

মতামত দিন